Bangladesh

সরকারকে ২৪ ঘণ্টার চরমপত্র বিএনপির

সরকারকে ২৪ ঘণ্টার চরমপত্র বিএনপির

| | 26 May 2013, 03:52 am
ঢাকা, মার্চ ২০: বিএনপি বাংলাদেশ সরকারকে একটি নতুন চরমপত্র দিয়েছে যেখানে তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ১৫৪জন গ্রেফতারিত নেতা ও সদস্যদের মুক্তির দাবী করেছে।

 "যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের নেতাদের ও সদস্যদের মুক্ত না করা হয় তাহলে আমরা অত্যন্ত কঠোর কর্মসূচি শুরু করব সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য," বিএনপি জানায়।

 
এই নির্ণয় নেওয়া হয় মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।  
 
বিএনপি স্থায়ী কমিটি নির্ণয় নেয় তারা শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের জবাবে ঢাকায় একটি বিশাল র‍্যালি বের করবে।
 
"সেই র‍্যালিতে \'জনতার মঞ্চ\' নামক একটি সংগঠন সৃষ্টি করা হবে," এক বিএনপি কর্মী জানান।
 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান খালেদা বোগড়া ও দিনাজপুরে যাবেন মার্চ ২২ ও ২৩ তারিখে সেই সব পরিবারের কাছে সহানুভূতি প্রকাশ করতে তাদের সদস্যেরা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছে।
 
বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ পার্টির জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বাংলাদেশব্যাপী হরতাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে প্রবেশ করে; দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসে হিংসাত্মক কার্যকলাপের খবর।   
 
খালেদা জিয়ার বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীপক্ষ এই হরতালের  ডাক দিয়েছে তাদের গ্রেফতারিত ১৫৪ নেতাদের মুক্তির দাবীতে। 
 
ঢাকাতে হিংসাত্মক তাণ্ডবের খবর আসে আজিমপুর, মিরপুর, মতিঝিল, পান্থপথ, ফার্মগেট, শ্যামলী, বনশ্রী ও পুরনো ঢাকা থেকে।
 
মতিঝিল, ফার্মগেট, মিরপুর স্টেডিয়াম ও যাত্রাবাড়ীতে হরতালকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পাঁচটি হাতবোমা ফাটানো হয়।
 
নাটোর ও চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও আসে হিংসাত্মক ক্রিয়ার খবর।
 
টাঙ্গাইলে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতিতে প্রাণ যায় বাংলাদেশ ছাত্র লীগ নেতা ইমরান সরকারের, জানায় পুলিশ।
 
রাজশাহীতে পুলিশ ও হরতালকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয় ২৫জন।
 
 হরতাল সমর্থকরা চট্টগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে ব্যারিকেড বসিয়ে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করে।  
 
 মার্চ ১১ তারিখে, পুলিশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিরোধী দলের প্রধান জিয়ানুল আব্দিন ফারুক ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সহ পার্টির অনেক শীর্ষ নেতারদের ঢাকার নয়াপল্টনে দলের সদর দপ্তর থেকে গ্রেফতার করে।      
 
বাকি গ্রেফতারিত নেতারা হলেন প্রাক্তন গৃহমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম সাধারণ সচিব - রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও আমানুল্লা আমান -, এবং  ঢাকা শহর ইউনিট সদস্য সচিব আব্দুস সালাম।
 
আইনরক্ষকরা ১৫০জনেরও বেশী নেতা ও সক্রিয় কর্মীদের গ্রেফতার করে নয়াপল্টনে দলের সদর দপ্তর থেকে। অফিসের কর্মীদেরও আটক করা হয়।
 
এর প্রতিবাদে সোমবার বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ পার্টির জোট সোমবার থেকে হরতালের ডাক দেয়।