Column

জামাতের ‘শিবির’কে মূল স্রোতে আনা চেষ্টা করা হোক

জামাতের ‘শিবির’কে মূল স্রোতে আনা চেষ্টা করা হোক

| | 27 May 2013, 06:39 am
টেলিভিশন এবং খবরের কাগজে প্রায়ই পুলিশকে আক্রমনোদ্যত জামাত-শিবিরের কর্মীদের ছবি দেখা যায়। এ ছাড়াও অন্য ভাবে এরা খবরে আসে—যেমন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জামাত নেতা-কর্মীদের জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের ‘ইসলাম বিরোধী’ বলে চিহ্নিত করে এবং তাঁদের প্রানে মারার হুমকি দিয়ে। এই সব হুমকি যারা দেয়, তারা সব তরুন শিবির কর্মী, যাদের জন্ম বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এবং যারা জানেইনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়া ব্যর্থ করতে দখলদারি পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী হিসেবে জামাত কি ঘৃণ্য ভূমিকা পালন করেছিল।

 নতুন প্রজন্মের এই শিবির কর্মীরা, যাদের ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্ধ রাজনীতিতে অভ্যস্ত করা হয়েছে, তাদের জামাতের মুঠো থেকে ছিনিয়ে এনে গণতান্ত্রিক মূলস্রোতে আনা দরকার। পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের আক্রমন করা ছাড়াও এরা জনগনের  সম্পত্তিতে অগ্নি সংযোগ করছে, আইন-শৃংখলা সমস্যা তৈরি করছে এবং মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। এদের উৎসাহ, উদ্যম, প্রান  শক্তিকে ধ্বংসাত্মক কাজের থেকে সরিয়ে এনে দেশের উন্নয়ন এবং বিকাশের কাজে নিয়োজিত করার চেষ্টা করতে হবে। সেই সাথে এটাও খুঁজে দেখতে হবে, কি করে এবং কি ভাবে নতুন প্রজন্মের তরুণদের জামাত তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা রুপায়ন করতে লোভ দেখিয়ে বিপথগামী করে দিতে পারছে।

 
মুক্তি যুদ্ধের সময় জামাতের কি ভূমিকা ছিল, কি ভাবে তারা পাক সেনাদের সহযোগী হিসেবে জঘন্যতম কাজ কর্ম করেছে, তার বিশদ বিবরন দিয়ে এই সব তরুণদের জানানো দরকার। এদের কাছে প্রকাশ করা দরকার কি ভাবে জামাতের লোকেরা স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং নিরীহ মানুষের উপর অকথ্য পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে তাদের হত্যা করেছে, পঙ্গু করে দিয়েছে, কি ভাবে অল্প বয়সী মেয়েদের ধর্ষন করেছে আর কি ভাবে দেশের সম্পদ ধ্বংশ করেছে, যাতে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম না হতে পারে। যদি তা করা যায়, তবে জামাতের আসল চেহারাটা এদের কাছে পরিষ্কার হবে। দেশের তরুনরা জানুক জামাত কোনও ধর্মীয় সংগঠন নয়। এরা ধর্মের আশ্রয় নিচ্ছে শুধু মাত্র তাদের ভুল বুঝিয়ে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগাতে এবং ক্ষমতা দখল করতে।
 
আর এই ভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের সাথে এই তরুনদের পরিচয় ঘটিয়ে জামাতের মুখোশ খুলে দেওয়া যেতে পারে। এই ভাবেই এই বিপথগামীদের মনে স্বাধীনতা সংগ্রামের উদ্দীপনার শিখা জ্বালিয়ে তাদের সমাজের মূল স্রোতে আনা যেতে পারে।