Column

Akhaura-Agartala train to roll by 2021

Akhaura-Agartala train to roll by 2021

Bangladsh Live News | @banglalivenews | 29 Jun 2020, 07:34 am

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নতুন রেল যোগাযোগ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। আখাউড়া-আগরতলা (বাংলাদেশ এবং ভারত) রেলওয়ের পঞ্চম স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর সম্প্রতি আগরতলায় এ কথা জানিয়েছেন ভারত-বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের যৌথ প্রতিনিধিদল।

বাংলাদেশের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারির নেতৃত্বাধীন আট-সদস্যের একটি সরকারি প্রতিনিধিদল এবং ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিকের নেতৃত্বে থাকা ভারতীয় রেলের আধিকারিকদের নিয়ে গড়া দশ জনের একটি দল এই প্রকল্পটি শেষ করার দিনক্ষণের ব্যাপারে সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি পর্যালোচনা করেছেন।

ভারত সরকার এর আগেই ঘোষণা করেছিল যে ১৫.৬ কিমি-র এই রেল প্রকল্পের সম্পূর্ন খরচ তারাই বহন করবে। এই রেল প্রকল্প বাংলাদেশের গঙ্গাসাগরের সঙ্গে ভারতের নিশ্চিন্তপুর (১০.৬ কিমি) এবং নিশ্চিন্তপুরের সঙ্গে আগরতলা রেল স্টেশকে (৫কিমি) যুক্ত করবে। এই ১৫.৬ পাঁচ কিমির মধ্যে পাঁচ কিমি পড়ছে ভারতে এবং বাকি ১০.৬ কিমি বাংলাদেশে।

রেল লাইন পাতার জন্য প্রাথমিক ভাবে ত্রিপুরায় ৯৭.৬ একর জমি নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তকালে প্রকল্পের নতুন হিসেব নিকেশ অনুযায়ী এই জমির পরিমাণ ৭২ একরে কমিয়ে আনা হয়। আখাউড়া এবং আগরতলার মধ্যে রেল লাইন পাতার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ন হয়ে গেছে।

প্রকল্পটির জন্য প্রাথমিক ভাবে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ২৭১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৩০২ কোটি টাকা লাগত ত্রিপুরায় ৯৭.৬ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য। কিন্তু সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী জমি লাগছে মাত্র ৭২ একর, তাই এর জন্য খরচের পরিমাণও এখন ৩০২ কোটি টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে দু'কোটি টাকায়।

নিশ্চিন্তপুরে ভারতের উত্তর - পূর্বাঞ্চলের প্রথম যানান্তর প্রাঙ্গণ গড়ে উঠবে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রী এবং পণ্যসমূহকে নামানো হবে। রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসে।

আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পটির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়। এর পরে, ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতিকে জোরদার করে তুলবে। সর্বোপরি, এই প্রকল্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'অ্যাক্ট ইস্ট' নীতির প্রসার ঘটাবে। এই নতুন রেল লাইন করার ফলে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ১৬৫০ কিমি দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫৫০ কিমিতে। ভারত সরকার পরিচালিত ইরকন সীমান্তের দুদিক জুড়ে এই রেল লাইন পাতার কাজ করবে।