Column

বাংলাদেশঃ স্থায়িত্ব এবং উন্নয়নের এক অনন্য গল্প

বাংলাদেশঃ স্থায়িত্ব এবং উন্নয়নের এক অনন্য গল্প

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 06 Jun 2019, 07:25 am
বাংলাদেশের কোনও সচেতন এবং দায়িত্বশীল নাগরিক কি এ কথা অস্বীকার করতে পারবেন যে, উন্নয়ন এবং স্থায়িত্বের দিক দিয়ে গত দশ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে ? বাংলাদেশ যে বিশ্বের বিস্ময় এবং বহু দেশের রোল মডেল হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তা কি শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের দাবি ?

এ কথা অনস্বীকার্য যে গত দশ বছর ধরে আওয়ামী লীগ বিরামহীন কাজ করে গেছে। কিছু কর্মসূচী এর থেকে আর বেশি সফল হতে পারতোনা।  এ কথা না বললেও চলে যে, কোনও অঘটন না ঘটলে যে রাস্তায় চললে  দেশ বেশি করে সমৃদ্ধ হবে, সেই পথে বাংলাদেশকে চালিত করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ অসাধারণ ভালো কাজ করেছে।

 

অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকের দিক দিয়ে প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে থেকে এবং ৭.৮৬ শতাংশ জি ডি পি বৃদ্ধি ঘটিয়ে পৃথিবীর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের কাছে বাংলাদেশ এখন এক রীতিমত আবিষ্কার।

বেশিরভাগ আর্থ-সামাজিক সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের এবং দক্ষিণ এশিয়ার  প্রতিবেশী দেশগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ যে শুধু অনেক সাফল্য অর্জন করেছে তা-ই নয়, দেশের সর্ব্বোচ্চ নেত্রী এবং প্রধানমত্ন্রী শেখ হাসিনা তাঁর সক্ষমতা এবং নেতৃত্বগুণের জন্য 'প্ল্যানেট ৫০ ৫০ চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড' এবং 'এজেন্ট ফর চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড'-এর মত অনেক সংখ্যায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করেছেন।

 

দেশে এখন নব্বই শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে বাস করছেন এবং বেকারির হার কমে পৌঁছেছে ৪ শতাংশে। সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পগুলিতে বহু হাজার কোটি টাকা খরচ করে বহু লক্ষ মানুষকে সরাসরিভাবে রাষ্ট্রীয়    অর্থনৈতিক সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বেশ কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন স্থাপিত হয়েছে, তেমন দেশজুড়ে আরও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্যেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য বিশালভাবে তাৎপর্যপূর্ন। বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় ১৬,০০০ মেগাওয়াট এবং লোডশেডিং বহুলাংশে কমে গেছে।

 

  ইনফর্মেশন অ্যান্ড কম্যুনিকেশন টেকনোলজি ব্যবহার এবং প্রচলের ক্ষেত্রে আই সি টি-র সুবিধাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার অসাধারণ কর্মদক্ষতা দেখিয়েছে। আই সি টি-র সুবিধাগুলির মাধ্যমে  বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য   প্রধানমন্ত্রীর আই সি টি উপদেষ্টা সাজিব ওয়াজেদ জয় মুল অনুঘটকের কাজ করছেন। তাঁর অবদানের জন্য তিনি গ্লোবাল   অ্যাকনলেজমেন্ট আই সি টি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

জঙ্গি কার্যকলাপ দমন করার ক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগ সরকার বিপুল সাফল্য পেয়েছে।

 

পাকিস্তানিরা, যারা একসময় অধুনালুপ্ত পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের ছোটো মনে করে নিচু চোখে দেখত, তারাও এখন তাদের দেশকে অতল মন্দা এবং দিগ্‌ভ্রষ্টতার থেকে ফিরিয়ে এনে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে বাংলাদেশের পদাঙ্ক অনুসরণ করার জন্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

 

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত ব্যাপারে শেখ হাসিনা,  তাঁর কাছে প্রত্যাশামতই তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস প্রদর্শন করেছেন। এ কথা বলা বাহুল্য হবেনা যে, পারঙ্গমতা এবং আত্মবিশ্বাসের ঈর্ষনীয় মূর্ত প্রকাশ ঘটেছে তাঁর মধ্যে। যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে একটি দেশ চালানো সহজ কর্ম নয়। সর্বোপরি, একটি দেশকে দ্রুত উন্নয়নের রাস্তায় আনতে গেলে বিশেষ দক্ষতা এবং প্রচেষ্টার দরকার হয়। সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান পরিষ্কারভাবে এই প্রমাণই দেয় যে পারঙ্গমতার দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনা বিশ্বের বহু নেতা-নেত্রীকেই ছাড়িয়ে গিয়েছেন।

শেখ হাসিনা আশ্রয়ের ব্যবস্থা না করলে বাংলাদেশে আসা দশ লক্ষ রোহিংগিয়া শরনার্থী কোথায় যেত ? বিশেষ করে সাধারণ মানুষের জন্য এবং রোহিংগিয়াদের জন্য তাঁর অতুলনীয় সহানুভূতি তাঁকে মানবতার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করে।