Column

Sheikh Hasina: World’s longest serving female leader

Sheikh Hasina: World’s longest serving female leader

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 18 Sep 2019, 06:23 am
পৃথিবীতে সব থেকে বেশি দিন ধরে ক্ষমতায় থাকা নেত্রীদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উইকিলিকসের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী মহিলা পুনর্জাগরণের এক বিগ্রহ হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা। প্রাথমিক ভাবে তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৮ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন। এরপর থেকে সব কটি জাতীয় নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভাবে জয়ী হয়। ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে তাঁর দল সংসদে সর্বাধিক আসনে জয়ী হয়। এর ফলে ২০১৯ সালের ৭ই জানুয়ারি তারিখে তিনি উপর্যুপরি তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন।

ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৫ বছর পূর্ন করেছেন এবং বর্তমানে তাঁর চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বছর অতিবাহিত করছেন। ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার এবং শ্রীলংকার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার মত বিখ্যাত মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড তিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন।

 

বেশি দিন ধরে ক্ষমতায় থাকা মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের তালিকার শীর্ষে  বিরাজ ছিলেন  জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ২০০৫ সালে প্রথম বারের মত ক্ষমতায় এসে এখনও তিনি জার্মানি শাসন করছেন। অপর দিকে শেখ হাসিনা চার বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছেন, তার মধ্যে তিনবার পর পর।

 

থ্যাচার ব্রিটেন শাসন করেছেন ১১ বছরের বেশি সময় ধরে-১৯৭৯ থেকে ১৯৯০-এর ২৮শে নভেম্বর পর্যন্ত।  ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন সময় মিলিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোট ১৫ বছর। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট- এই উভয় পদে চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা ছিলেন মোট ১১ বছর ৭ দিন।

 

সব থেকে বেশিদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা চার মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান হলেন ইন্দিরা গান্ধী, মার্গারেট থ্যাচার, অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এবং শেখ হাসিনা। এই চার জন নেত্রীই তাঁদের নিজের নিজের দেশকে নতুন পথ এবং নতুন সম্ভাবনার দিশা দেখিয়েছেন।

 

চতুর্থবার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্যান্য মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের রেকর্ড পেরিয়ে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ এক বিরাট আর্থ-সামাজিক উন্নতি প্রত্যক্ষ করেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু  আয় এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০০ ডলার। মাত্রই কয়েক বছর আগে এ দেশে মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ডলারের নীচে । রেকর্ড গতিতে আর্থিক বৃদ্ধির পথে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তাঁর    দুরদর্শী ভাবনা তাঁকে সারা বিশ্ব থেকে অকুণ্ঠ প্রশংসা এনে দিয়েছে।

 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্প্রতি বাংলাদেশ 'লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি' থেকে উন্নীত হয়েছে। একদা কথিত 'বটমলেস বাস্কেট' অর্থাৎ অন্তহীন অভাবের দেশ থেকে বাংলাদেশ  মধ্য - আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। বাংলাদেশকে তিনি 'ডিজিটাল বাংলাদেশ', অর্থাৎ একটি আই টি- ভিত্তিক দেশের স্বপ্ন রদেখিয়েছেন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রচেষ্টার ফলে আজ ডিজিটাল টেকনোলজি বাংলাদেশের মানুষের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে।

 

যুদ্ধাপরাধ বিচা সূচনা করে এবং ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দেশের তিরিশ লক্ষ শহিদের পরিবারের হৃদয়ে তিনি শান্তির প্রলেপ দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম মহাকাশ উপগ্রহ 'বঙ্গবন্ধু ১' ২০১৮ সালে মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের দিক দিয়ে এ এক বিশাল সাফল্য। দেশে তিনি অতীব শ্রদ্ধার পাত্রী, যাঁকে   স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শের  উত্তরাধিকারের একমাত্র রক্ষী হিসেবে মনে করা হয়।

 

তাঁর 'ভিশন ২০২১ এবং   'ভিশন ২০৪১'-এর রুপায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী ধনী দেশে পরিণত করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন শেখ হাসিনা।

 

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। একটি অত্যুজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশকে এখন সব দেশই   সম্ভ্রম এবং প্রশংসার চোখে দেখে। যে দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচর্যা করে চলেছেন তিনি, তার স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা নানা মর্যাদাপূর্ন পুরস্কারে ভূষিত করেছে  শেখ হাসিনাকে ।