Column

TOO MANY IFS AND BUTS TO BAJWA’S EXTENSION: INTRIGUE, UNCERTAINTY AHEAD IN PAKISTAN

TOO MANY IFS AND BUTS TO BAJWA’S EXTENSION: INTRIGUE, UNCERTAINTY AHEAD IN PAKISTAN

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 18 Dec 2019, 03:16 am
গত ২৮শে নভেম্বর সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার চাকরির মেয়াদ আর মাত্র ছ' মাসের জন্য বাড়িয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সেনা আইনের সংশোধন করে পুরো তিন বছরের বর্ধিত মেয়াদের ব্যবস্থা করতে। এর পর থেকে পাকিস্তান একটি ষড়যন্ত্রময়, অনিশ্চয়তাপূর্ন এবং সম্ভবত রাজনৈতিক অস্থিতিশীল সময়কালের দিকে এগিয়ে চলেছে।

এর ফলে প্রকৃতপক্ষে, বাজওয়ার ভাগ্য এখন চলে গেছে পরস্পরের সংগে বিবাদে লিপ্ত রাজনীতিক এবং সাংসদদের হাতে। যে দেশে সেনাবাহিনী উপচে পড়া প্রভাব উপভোগ করে, সেখানে এমন পরিস্থিতি নজিরবিহীন।

 

দেশদ্রোহীতার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রাক্তন সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফের বিষয়ে যেখানে ইতিমধ্যে আদালতের রায় অপেক্ষমাণ, সেখানে যে বেসামরিক সরকারকে দিয়ে এতদিন তারা ইচ্ছেমত কাজ করিয়েছে এবং তার উপর প্রভুত্ব করেছে এবং যে বিচারবিভাগ  সামরিক বিভাগের ক্ষমতাদখলের সমস্ত অতীত ঘটনাকে বৈধতা দিয়ে গেছে, তাদের কাছে এই হীনতা সেনানায়কদের পক্ষে হজম করা কঠিন।

 

সর্বোপরি, শীর্ষ আদালত তার   রায়ে বিশদ কিছু বলেনি  এবং কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করে নি। ইমরান খান সরকার যে ছয় মাসের সময়  পেয়েছে, তা খেয়ে নিচ্ছে এই রায়।

 

দ্বিতীয়ত, আদালত নির্দিষ্ট করে বলে দেয়নি আইন সংশোধন করা হবে  কী ভাবে - জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে সাধারণ গরিষ্ঠতা না দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার মাধ্যমে।

 

এর পরে যে  ইমরান খান সরকার মন্ত্রীদের একটি কমিটির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংগে কথাবার্তা চালাচ্ছে, তাকে আদালত-উল্লিখিত আইনটি পাশ করা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার যেখানে দু'টি প্রধান দলের শীর্ষ নেতা- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারিকে জেলে পাঠিয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক ভাবে অথবা আইনসভার চৌহদ্দির মধ্যে এমন কর্ম সম্পাদন অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

 

এ কাজ করতে গেলে নিশ্চিতভাবে এই দুই নেতা এবং তাদের পরিবারের জেলবন্দী সদস্যদের সম্পূর্ন মুক্তি না হলেও তাদের শাস্তি লঘু করার দাবি উঠবে। সরকারের সঙ্গে এদের বিভেদ সম্পূর্ন এবং দ্বন্দ্ব অতি তিক্ত।

 

রাজনৈতিক ভাবে, যে ইমরান খানের ক্ষমতায় অধিষ্ঠান বাজওয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক বিভাগের রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী কারসাজির মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে বলে  ব্যাপক ধারনা আছে, তিনি কোনও ঈর্ষনীয় জায়গায় নেই। তবে তাঁর এই অবস্থানটি কেবল সেনাবাহিনীর অবস্থানের সংগেই  তুলনীয়,  কারণ সামরিক বাহিনী তার গতিপথ এবং আধিপত্য নির্ধারণ করে দেওয়ার ব্যাপারে রাজনীতিক অথবা বিচারকদের সমর্থন দিতে পারেনা।

 

বাজওয়ার নিজের অবস্থান সংকটাপন্ন। এই  মতামত উঠে এসেছে যে বিতর্কিত হয়ে ওঠার পরে তাঁর মেয়াদের সময়সীমা আর  বাড়ানো উচিত ছিল না। নাজম শেঠি দ্য ফ্রাইডে টাইমসের সম্পাদকীয়তে প্রকাশ করেছেন যে, বাজওয়া ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। "তাঁর কেসটি যাতে সরকার ২৮শে নভেম্বর ঠিকঠাক ভাবে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে   বাজওয়া ব্যক্তিগত তদারকির দরকার বলে মনে করেছিলেন কেন ?" শেঠি তাঁর সম্পাদকীয়তে ( ডিসেম্বর, ২০১৯) জিজ্ঞাসা করেছেন।

 

বাজওয়ার আরও বড় শিরঃপীড়ার কারণ, তাঁর জুনিয়র যে সাতজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, যারা মনে করছেন এর পরে তাঁদের  সামরিক প্রধান হবার সুযোগ রয়েছে।  মনে করা হচ্ছে এঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন এবং বাজওয়ার মেয়াদ যাতে পুরো তিন বছরের  জন্য বাড়ানো না হয়, তার জন্য প্রভাবশালী আত্মীয়পরিজনদের মাধ্যমে দরবার করছেন।

 

শীর্ষ আদালত, বিশেষত বিদায়ী প্রধান বিচারপতি আসিফ সাইদ খোসা, বাজওয়ার মেয়াদ বাড়ানোর সংগে আদালত নওয়াজ শরিফকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়ার বিরুদ্ধে ইমরান খান যে  চাপা সমালোচনা করেছেন, তাকে এক করে দেখেছেন এবং জনসমক্ষে বলেছেন, " আমাদের বিদ্রূপ করবেন না। "

 

 সাতজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল যে উদ্যোগ নিতে চলেছেন বলে বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে সম্ভবত এই আদালতের বিপদে ফেলে দিতে পারে,  এবং সেই সংগে বাজওয়াকেও।

 

পাকিস্তানের প্রাক্তন কূটনীতিক এবং আমেরিকায় বসবাসকারী বিশিষ্ট পণ্ডিত হুসেইন হাক্কানি বলেছেন, খানের বিকল্প পাওয়ার জন্য সামরিক বাহিনী এখন  পর্দার আড়াল থেকে বিরোধীদের সঙ্গে কার্যকলাপে জড়িত হয়ে পড়তে পারে।