Entertainment

All troubles related to Debi over

All troubles related to Debi over

| | 19 Apr 2018, 12:27 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ১৯: প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘দেবী’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে।

উল্লেখ্য, কেবল হুমায়ুন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওনের অনুমতি নিয়ে সরকারি অনুদানে ছবিটি নির্মিত হয়।

 

লেখকের প্রথম পক্ষেরও তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

 

তাদের অনুমতি না নিয়েই ছবির কাজ শুরু হয়। এরপরই হুমায়ূনের মেয়ে শিলা আহমেদ ফেইসবুকে তার আপত্তির কথা জানান। হুমায়ুন আহমেদের বড় ছেলে নুহাশ হুমায়ুন গত ২ এপ্রিল এক স্ট্যাটাসে প্রশ্ন তোলেন, ‘কে দেবী’ বানানোর অনুমতি দিয়েছে? আমরা চার ভাইবোন দিইনি। আমাদের অনুমতি ছাড়া কীভাবে এই সিনেমা সরকারি অনুদান পেল? কীভাবে এটি বানানো হয়ে গেল? কীভাবে এটা মুক্তি পাচ্ছে?’


নিজের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এক বার্তায় নুহাশ বলেন, শাওন আমার বাবার ‘ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টির’ (গল্প, উপন্যাস, তার সৃষ্ট যেকোনো কিছুর) একমাত্র উত্তরাধিকার না। তাই আমাদের চার ভাইবোনের অনুমতি ছাড়া, শুধুমাত্র শাওনের অনুমতি নিয়ে, হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি নিয়ে কাজ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।’


এমন আপত্তির পর চলচ্চিত্রটির প্রযোজক চিত্রনায়িকা জয়া আহসান হুমায়ূনের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিনের সন্তান নুহাশ হুমায়ূনসহ বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ ও শিলা আহমেদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে দুঃখ প্রকাশ ও অনুমতি গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন নুহাশ হুমায়ূন। তারই প্রেক্ষিতে হুমায়ূন আহমেদের মেধাস্বত্বে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।


নুহাশ জানান, আইনগত অনুমতি নেওয়ার আগ পর্যন্ত ‘দেবী’ চলচ্চিত্রের প্রচারণার কাজ বন্ধ রেখেছিলেন জয়া। চলচ্চিত্র ‘দেবী’ নিয়ে উত্তরাধিকারদের অসন্তোষ এখন আর নেই জানিয়ে নুহাশ লেখেন, ‘জয়া আহসান আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং আমাদেরকে তার দিকের ব্যাখ্যা দিলেন, তখন আমাদের মনে হয়েছে -এটা তার দিক থেকে একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। আর তিনি যে এটা সংশোধন করতে চাইছেন এটা একটা দায়িত্বশীল আচরণের বহিঃপ্রকাশ।’


এর মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি নিয়ে যে কোনো কিছু নির্মাণে অন্য নির্মাতাদেরও সতর্ক করলেন নুহাশ। উত্তরাধিকার প্রশ্নে এমনকি হুমায়ূণ আহমেদের ভাই প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবালের অনুমতিও যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুও পর তেকে তাঁর সব বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছিলেন শাওন। বরাবরই হুমায়ূনের প্রথমপক্ষের ছেলে-মেয়েরা এ ব্যাপারে অনীহা দেখিয়ে এসেছেন।