Entertainment
Ferdous triggers controversy by campaigning for Indian political party
ভিসা আইনের শর্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় বাংলাদেশি এই চিত্রনায়ককে গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ফেরদৌসকে কালো তালিকাভুক্ত এবং তার বিজনেস ভিসা বাতিল করেছে।
ভারতের সরকারি সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট্র অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) বলছে, অন্য দেশের নাগরিক তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছে; এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিজিওনাল ফরেইনার্স রেজিস্ট্র্রেশন অফিসের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন চেয়েছে। অপরদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস ফেরদৌসকে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা জেপি মজুমদার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, ‘ভারতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিদেশি অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস একজন বাংলাদেশিকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছে। এছাড়া ভিসা-সংক্রান্ত আইন না মানায় তাকে (ফেরদৌস) গ্রেফতার করা উচিত।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইন্ডিয়া ট্যুডেকে বলেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারের এমন কৌশল আগে কখনো দেখিনি। কাল হয়তো ইমরান খানকেও (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী) প্রচারে ডাকবে তৃণমূল। ভোট কম পড়লে রোহিঙ্গাদেরও ডেকে আনতে পারেন তিনি।’ তার প্রশ্ন, ‘ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারে এভাবে বিদেশি তারকা আসতে পারেন? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আইন মানেন না; আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’
গত রোববার ফেরদৌস পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন টালিউড তারকা অঙ্কুশ হাজরা ও পায়েল।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়গঞ্জ আসনে বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী, কংগ্রেসের প্রার্থী দীপা দাসমুন্সি আর সিপিএম প্রার্থী বর্তমান বিদায়ী সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম।
তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বিজেপির অভিযোগের জবাবে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাই এটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে হয়েছে। এতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রশ্ন নেই।’