Finance

পদ্মা সেতু প্রকল্পের টেন্ডার ছাড়া হল

পদ্মা সেতু প্রকল্পের টেন্ডার ছাড়া হল

| | 26 Jun 2013, 01:10 pm
ঢাকা, জুন ২৬: যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বুধবার পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্যে একটি আন্তর্জাতিক টেন্ডার ছাড়ে।

 সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই খবর সংবাদমাধ্যমকে জানান।

 
"টেন্ডারের নথি শীঘ্রই সেতু বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উপলব্ধ করা হবে," ইসলাম বলেন।
 
যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার বলেন নির্মাণের কাজ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৳ 10 হাজার কোটি টাকা খরচ করে শুরু হবে।
 
জুন ১৯-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানান পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্যে টেন্ডার জুনের শেষ সপ্তাহে গ্রহণ করা হবে।
 
"আওয়ামী লীগ সরকার তার ক্ষমতায় থাকার সময়সীমার মধ্যেই সেতুনির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়ার যথসাধ্য চেষ্টা করবে। সরকার তার ২০১৩-১৪র জাতীয় বাজেটে ৳ ৬,৮৫২ কোটি বরাদ্দ করেছে নিজের টাকায় সেতুর কাজ করার জন্যে," জানান হাসিনা।
 
জুন ৮এ হাসিনা জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সরকার জুনের শেষে একটি আন্তর্জাতিক টেন্ডার ছাড়বেন পদ্মাসেতুর প্রধান পরিকাঠামো গড়ার জন্যে।
 
"আমরা আমাদের নিজেদের টাকা দিয়েই সেতুটি নির্মাণ করবো," হাসিনা বলেন।
 
"আমরা আমাদের মেয়াদের মধ্যেই পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে দেব। যদি আমরা আবার ক্ষমতায় ফিরি তাহলে পরবর্তী মেয়াদকালের মধ্যেই আমরা এই প্রকল্পের কাজ শেষ করবো," তিনি বলেন।
 
জূণ ১১তে  বিশ্ব ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ সরকারকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র নিয়ে তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়।
 
অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহীথ এই রিপোর্টটি গ্রহণ করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক কান্ট্রি ডাইরেক্টর জোহানেস যুৎ-এর কাছ থেকে।
 
"আমি এই মুহূর্তে বলতে পারব না যে এই রিপোর্টে কি আছে কেননা আমি নিজেই এখনো এটি খুলে দেখি নি। অবশ্য আমি নিশ্চিত নই যে সরকারও মিডিয়াকে জানাতে চায় কিনা এই রিপোর্টে কি আছে," মুহীথ বলেন।
 
"কিন্তু আমরা এই রিপোর্টটি বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে আপলোড করার অনুমতি দিয়েছি," তিনি বলেন।
 
ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব ব্যাংককে একটি চিঠিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য তহবিলের অনুরোধ প্রত্যাহার করে।
 
বিশ্ব ব্যাংক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়ঃ "বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সরকারের পদ্মা সেতুর জন্য পুনর্নবীকরণ অর্থায়ন না নেবার  সিদ্ধান্ত স্বীকার করেছে।"
 
বিশ্ব ব্যাংক জানায় তারা সরকারকে এই প্রকল্পের জন্য কোন ঋণ না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
 
জুন ২৯, ২০১২-এ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক ২.৯  বিলিয়ন ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য তাদের ১.২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাতিল করে দিয়েছিল এই বলে যে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছিল এটি নিয়ে একটি \'দুর্নীতির ষড়যন্ত্র\' চলছে যাতে কিছু বাংলাদেশী মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা, একটি কানাডার সংস্থার কর্মকর্তারা এবং কিছু ব্যক্তিগত ব্যাবসায়িরা জড়িত।
 
দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত খুঁতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ সরকার একটি তিন-সদস্যের বহিরাগত প্যানেল তৈরি করাতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক সেপ্টেম্বর ২১, ২০১২-এ তাদের ঋণ পুররায় উজ্জীবিত করতে রাজি হয়।