Finance

 রবি কর্মীদের মানব ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ প্রদান করবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট

রবি কর্মীদের মানব ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ প্রদান করবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট

| | 30 Jun 2016, 01:37 pm
ঢাকা, জুন ৩০: বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) দেশের শীর্ষকস্থানীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী রবি’র কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করবে। সম্প্রতি বিআইএম প্রাঙ্গনে রবি এবং বিআইএম’র মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার (সিসিপিও) মতিউল ইসলাম নওশাদ এবং বিআইএম’র সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কাউন্সেলর মাহবুব উল আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

 

এসময় যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহাদাত হোসেন মাহমুদ, পিএইচডি ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. পারভীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রবি’র রিসোর্সিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট শারমিন সুলতান, এইচআর বিজনেস পার্টনারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফয়সাল ইমতিয়াজ খান ও কমিউনিকেশনস অ্যান্ড কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবীর।

 

‘ফার্স্ট লাইন ম্যানেজার’ শিরোনামে আয়োজিত ছয় মাসব্যাপী এ প্রোগ্রামে কোম্পানির মধ্য শ্রেণীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে রবি’র ২৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ পাবেন। মালয়শিয়া ভিত্তিক মোবাইল ফোন কোম্পানি আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের মেধা ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি আয়োজন করা হচ্ছে।

 

ক্লাসরুম ও ভার্চুয়াল- দুই উপায়েই এই ফার্স্ট লাইন ম্যানেজার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে। প্রশিক্ষণ শুরুর আগে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সকল কর্মকর্তারা ৩৬০ ডিগ্রি লিডারশিপ অ্যাসেসমেন্ট দ্বারা মূল্যায়িত হবেন। প্রশিক্ষণ শেষে অগ্রগতি যাচাইয়ের জন্য তাদেরকে আবারো মূল্যায়ণ করা হবে। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিবে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের মানব ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দক্ষতাকে আরো শাণিত করতে পারবে।

 

রবি’র কর্মীদের ব্যবস্থাপনা আচরণের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষভাবে নজর দেয়া হবে। বর্তমান ব্যবসা পরিবেশের চাহিদানুযায়ী পরিস্থিতি অনুযায়ী নেতৃত্ব দিতে পারার মত সক্ষমতা অর্জনই এর মূল্য লক্ষ্য। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং প্রজন্ম ব্যবধানের গুরুত্বের বিষয়টিও প্রশিক্ষণে বিশেষভাবে জোর দেয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে যে, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষে কর্মীরা কোম্পানির উদ্ভাবন ও গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এবং শিল্পের অন্যান্য চ্যালেঞ্জ গ্রহণে মানসিকভাবে তৈরি হবে।