Finance

Bangladesh government projects GDP to 8.2 percent in budget

Bangladesh government projects GDP to 8.2 percent in budget

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Jun 2019, 02:13 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ১৪ : ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। যেখানে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট প্রস্তাবে তিনি এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। এর আগে প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করবেন।
এটি দেশের ৪৮তম ও বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ক্রমাগত ঈর্ষান্বিত হারে বেড়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রত্যাশা করি।


আগামী বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ নাম দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেট চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় করতে না পারায় ও উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিু বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।


আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এটি ছিল তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা ও সংশোধিত বাজেটে তিন লাখ ১৬ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এনবিআরের তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ব্যবস্থা থেকে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।


এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সেবার ফি, হাসপাতালের টিকিট মূল্য, সেতুর টোলসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আদায় করার পরিকল্পনা রয়েছে।