Finance
তুরস্ক, মিসর ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ করে কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে এলসি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো ছেড়ে দিতেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল নাগাদ এসব ট্রাক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল পর্যন্ত ট্রাকগুলো প্রবেশের অনুমতি মেলেনি বলে জানা গেছে। এ কারণে এলসি’র অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে কয়েকশ ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতকে অনুরোধ করেছে।
জানা গেছে, সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে এ বছর প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ শতাংশ পচে গেছে। এরপরও এ বছর দেশে মোট পেঁয়াজের পরিমাণ ১৯ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন। অথচ চাহিদা রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন। বাকি ৬ লাখ টন ঘাটতি মেটাতে ভারত থেকেই আমদানি করতে হয় পেঁয়াজ।
এদিকে কম দামে পেঁয়াজ আমদানি করে তা বেশি দামে কোনও ব্যবসায়ী বিক্রি করলে তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) তলব করা হবে। প্রয়োজনে বাজার নজরদারির দায়িত্বে থাকা সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকেও অসাধু আমদানিকারকদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করবে এনবিআর।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে বাজার স্থিতিশীল রাখতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে পেঁয়াজের দাম।