Finance

Can export business drop hit Bangladeshi economy
Amirul Momenin

Can export business drop hit Bangladeshi economy

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 06 Mar 2020, 07:13 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মার্চ ৬ : চলতি অর্থবছরের বাকি চার মাসেও রফতানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কম। এতে গোটা অর্থনীতি বড় সংকটে পড়ার শঙ্কায়।

চলতি অর্থবছরের শুরুতেই হোঁচট খায় দেশের রফতানি আয়। সেই হোঁচটের নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে রফতানিখাতে। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রফতানিখাতে যে আয় হয়েছে, তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কম। অর্জিত এ আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম।

অর্থবছরের বাকি চার মাসেও রফতানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে চোখ রাঙাচ্ছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।


রফতানিখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগদ প্রণোদনা ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও রফতানি আয় কমছে। তৈরি পোশাক, চামড়া, প্লাস্টিকসহ বড় বড় খাতে আয় কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সার্বিক রফতানিখাতে। এছাড়া বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা কম থাকায় অর্ডারও কমছে। সঙ্গে পণ্যের মূল্যও কমে গেছে। পাশাপাশি দেশের অবকাঠামোগত সমস্যা, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন না করা, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারসহ বিভিন্ন কারণে রফতানি বাণিজ্যে নেতিবাচক ধারা রয়েছে। আগামীতে এ অবস্থা হবে আরও ভয়াবহ।

কারণ এরই মধ্যে বিশ্ববাজারকে হেলিয়ে দিয়েছে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস। চীন ছাড়িয়ে এশিয়া-ইউরোপ-আমেরিকা- সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া এ মহামারি যদি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাহলে রফতানি বাণিজ্য বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।


বৃহস্পতিবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য রফতানিতে আয়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয় ৩ হাজার ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৬২৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কম এবং একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম। পোশাকখাতে অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম।