Finance

Eid: Sells and troubles

Eid: Sells and troubles

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 12 Aug 2019, 12:07 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা আগস্ট ১২ : পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পশুর হাট ছিল জমজমাট। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার গরুর দাম ছিল বেশ চড়া। এর প্রধান কারণ বেশ কড়াকড়িভাবে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ। কিন্তু ঈদের আগের দিন হঠাৎ করে গরুর দাম পড়ে যায়।

শেষ দিনে ক্রেতার সংখ্যা যেমন কম ছিল গরু সংখ্যা বিশেষ করে লাখ টাকার উপরের দামের গরু ছিল বিপুল সংখ্যায়। শেষ পর্যন্ত গত দু’দিনের তূলনায় প্রায় অর্ধেক দামে ব্যাপারিরা গরু বিক্রি করেছেন। কেউ কেউ গরু ফেরৎ নিযে গেছেন।


রহমতগঞ্জ পশুর হাটে শেষ দিন রোববার পাবনার সাঁথিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারি সাঈদ জানান, গরুর দাম নেই বললেই চলে। আগের দিন যে গরুর দাম এক লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বলেছে; আজকে ওই গরু ৯১ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পুরোই লোকসান বলে জানান তিনি।


শনিবার কাস্টমার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বললেও দেননি। রোববার সেই গরু ক্রেতার হাতে-পায়ে ধরে ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন রমিজ উদ্দিন নামে এক ব্যাপারি।


কয়েকজন বিক্রেতা জানালেন, শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে না পারলে ট্রাক ভাড়া করে বাড়ি নিয়ে যাবেন। লোকসান দিয়ে কিছুতে বিক্রি করবেন না।


এদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ পশুর হাট চট্টগ্রামের সাগরিকা বাজারের সবচেয়ে বড় গরুটির নাম কালা মানিক। শুরুতে ২০ লাখ টাকা দাম হাঁকা হলেও ঈদের আগেরদিন (রোববার) শেষ মুহূর্তে গরুটির দাম তিন লাখ টাকাও বলেনি কেউ। শুধু কালা মানিক নয়, চট্টগ্রাম নগরের ৯টি পশুর হাটের প্রতিটির অবস্থা এখন এমনিই। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ ব্যাপারিরা।


ব্যাপারিরা জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার ভারত থেকে গরু আসেনি। দেশি পশুতেই কোরবানির চাহিদা মেটাতে হবে। তাই গরুর দাম বাড়বে এমন প্রচার শেষ পর্যন্ত ব্যাপারিদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত কিংবা মিয়ানমার থেকে সেভাবে গরু না আসলেও প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা যে বিপুলসংখ্যক গবাদি পশু সরাসরি চট্টগ্রামের হাটগুলোতে এনে জড়ো করেছেন তা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। অথচ শুরু থেকেই গরুর ব্যাপারিরা তা খেয়াল করেননি। বরং শেষ সময়ে গরু সংকট হবে এমন ধারণা থেকে শুরু থেকেই তারা ছোট-বড় সব সাইজের গরুরই চড়া দর হঁকিয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই শেষ সময়ে দরপুন ঘটেছে।’