Finance
সর্ব্বোচ্চ করদাতারা প্রথম বার পুরস্কৃত
ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভিনিউ আয়োজিত গতকালের এক অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রী এ এম আ মুহিথ ট্যাক্স কার্ডের শংসাপত্র প্রাপকদের হাতে তুলে দেন।
এই বিশেষ ট্যাক্স কার্ড যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা এক বছরের জন্য কিছু সুবিধা ভোগ করবেন। জাতীয় স্তরে মিউনিসিপ্যালিটি এবং করপোরেশনের অনুষ্ঠানগুলিতেও তাঁরা আমন্ত্রিত হবেন।
জাতীয় বিমান সংস্থার উড়াণে বিদেশ ভ্রমনের জন্য টিকিট বুক করা এবং রেল ও জলপথে ঘুরতে রিজার্ভেশনের ক্ষেত্রেও এঁরা প্রাধান্য পাবেন।
এ ছাড়া, স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তান সহ এঁদের পরিবারকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রেও তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে বলা হয়েছে।
"জাতীয় ক্ষেত্রে সর্ব্বোচ্চ কর দাতাদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকার এই ট্যাক্স কার্ড চালু করেছে। এর উদ্দেশ্য, সাধারন মানুষ, যাঁদের মধ্যে কর দেওয়া সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবনা আছে, তাঁদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটান," মুহিথ তাঁর ভাষণে জানান।
"আপনার থেকে কর নিয়ে সরকার তা দেশের উন্নয়নের কাজেই লাগায়," এ কথা বলে মন্ত্রী জানান দেশে কর থেকে প্রাপ্ত আয় এ দেশের জি ডি পি\'র মাত্র দশ থেকে এগারো শতাংশ, যেখানে অন্যান্য দেশে এই সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এর মানে এখান কর থেকে আয় বাড়ানোর আরও অনেক বেশী সুযোগ আছে।
"ভবিষ্যতে শুল্ক নয়, বরং আয় কর, মূল্য কর এবং পরিষেবা করই ভবিষ্যতে সরকারের আয়ের মূল উৎস হতে চলেছে," মুহিথ বলেন।
এন বি আর চেয়ারম্যান গুলাম হোসেন বলেন, জন সংখ্যার নিরিখে বাংলাদেশে অন্তত ষাট লক্ষ কর দাতা থাকার কথা, কিন্তু বাস্তবে কর দেন মাত্র ১৩ লক্ষ মানুষ।
"এই ট্যাক্স কার্ড অন্যদের কর দিতে উৎসাহিত করবে। এর ফলে কর দাতাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাগেরও সৃষ্টি হবে," তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হোসেন বলেন, প্রথম বার বলে ট্যাক্স কার্ড দেওয়ার ব্যাপারটা বেশ খানিকটা দেরী হয়ে গেছে। তবে এবারে সরকার ২০১০-১১ এবং ২০১১-১২ সালের সর্ব্বোচ্চ আয়কর দাতাদের চলতি অর্থ বর্ষেই পুরস্কৃত করবে।