Finance
Export starts from Benapole
একই সঙ্গে পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হলো আমদানি কার্যক্রম।প্রথম দিন রোববার (০৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় পোশাক কারখানার পণ্য সামগ্রী নিয়ে পাঁচ বাংলাদেশি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এর মধ্য দিয়ে রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। রোববার ভারত থেকে শুধু কাঁচামালের কয়েকটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আমদানি-রফতানি চালু হওয়ায় বেনাপোলসহ পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে দফায় দফায় বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নির্দেশে ৭ জুন থেকে সীমান্ত বাণিজ্য সচল হয়। এরপর থেকে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আসছে।
কিন্তু বাংলাদেশি কোনো পণ্যের চালান ভারতে রফতানি হয়নি।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে কোনো রফতানি পণ্য গ্রহণ করেনি। ফলে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও ব্যাহত হচ্ছিল রফতানি।
বাড়ছিল বাণিজ্য ঘাটতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন এদেশের রফতানিকারকরা। বৈদেশিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ। বাধ্য হয়ে রফতানি পণ্য না নেয়ায় গত বুধবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে রফতানিকারকরা এক হয়ে বন্ধ করে দেয় আমদানি বাণিজ্য কার্যক্রম।
এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় খোদ পশ্চিবঙ্গ রাজ্য সরকারের দফতরে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চান আমদানি হলে রফতানি হবে না কেন। শনিবার রাজ্য সরকারের এক জরুরি বৈঠকে রফতানির বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এরপর রফতানি চালুর নির্দেশ দিলে পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রোববার বিকেল থেকে রফতানি পণ্য নিতে আগ্রহ দেখায়।
এরই প্রেক্ষিতে রোববার পাঁচটি পোশাক কারখানার পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাককে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। সময় স্বল্পতার কারণে এদিন বেশি ট্রাক পাঠানো যায়নি। তবে আজ সোমবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।