Finance
FBCCI to help India, Bangladesh develop textile, apparel sectors
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২ অক্টোবর ২০২০ : বাংলাদেশ ও ভারতের টেক্সটাইল এবং পোশাক খাতের সমন্বয় বিকাশে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিকে (সিআইআই) সহায়তা করবে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। এফবিসিসিআই ও সিআইআইয়ের যৌথ উদ্যোগে বুধবার ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ভার্চুয়াল কনফারেন্স অন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল সেক্টর’ শীর্ষক অনলাইন সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ক্লাউড সম্মেলনে চলমান সমস্যা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক, ভারতের টেক্সটাইল মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি, ভারতের টেক্সটাইল মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি রবি কাপুর, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির মহাপরিচালক চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, সিআইআইয়ের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান দিলীপ গৌর, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং সিআইআইয়ের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল বিষয়ক জাতীয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান কুলিন লালভাই।
এফবিসিসিআই সহসভাপতি বলেন, ‘বস্ত্র ও পোশাক শিল্প আমাদের পুরানো ঐতিহ্যের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশই এ খাতে যে দক্ষতা অর্জন করেছে তা কাজে লাগিয়ে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের পোশাকের বাজার গ্লোবাল ভ্যালু চেইনে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে পারে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্যের রফতানি মূল্য ৪২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী নতুন করে সাজানো ভ্যালু চেইন, বাজার এবং ভোক্তার আগ্রহ বিবেচনা করে আমরা ভারতের বাজারে ১.২ বিলিয়নেরও অধিক সংখ্যক গ্রাহক বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ভারতীয় ব্যাংকে এলসি প্রদানের সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করার বিষয়ে পূর্ববর্তী আলোচনার রেশ ধরে তিনি আরও বলেন, ‘যদি আগের স্থগিত অর্থ পরিশোধের বিষয়ে একটি সংশোধিত বিধান কার্যকর করা হয়, তবে ভারত থেকে পণ্যদ্রব্য সংগ্রহের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে আমাদের ব্যবসায়ীদের সহায়তা করবে। এছাড়া এটি ভারতের অন্যান্য পণ্য বড় পরিসরে আমদানি দ্বিপাক্ষিক ভ্যালু চেইন উদ্যোগ নিতে সহায়ক হবে এবং ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশি পোশাক ও বস্ত্র রফতানি সহজ করে তুলবে।’