Finance

Goods transported through rail a beacon of hope for importers
বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রেন (ফাইল ছবি)

Goods transported through rail a beacon of hope for importers

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 24 Aug 2020, 12:24 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০২০ : বেনাপোল স্থলবন্দরে চলছে পণ্যজট। জায়গার অভাবে আমদানিকৃত পণ্য রাখা যাচ্ছে না। যে কারণে বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায়। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। আমদানিকারকদের আশার আলো দেখাচ্ছে রেলপথে পণ্য পরিবহন। ৫০ দিনে এ পথে এসেছে প্রায় ৮০ হাজার টন পণ্য। পণ্যজট এড়িয়ে সহজে রেলপথে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। অন্যদিকে এ খাত থেকে রেলের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।

আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত থাকলে বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপর চাপ কমে আসবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে নতুন গতি আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

 

বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারির সংক্রমণ রোধে গত ২২ মার্চ রেল ও স্থলপথে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। হঠাৎ বাণিজ্য বন্ধের ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের হাজার হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে। পরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল হলেও এ পথে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সচলে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।

 

ব্যবসায়ীরা ক্ষতির বিষয়টি উভয় দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়, তাতেও সচল হয়নি বাণিজ্য। একপর্যায়ে রেল কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগে বিকল্পভাবে বাণিজ্য সচল করতে রেলপথে পার্সেল ভ্যানে দুই দেশের মধ্যে আমদানি বাণিজ্য চুক্তি হয়।

 

বর্তমানে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথে কার্গো রেল, সাইডডোর কার্গো রেল এবং পার্সেল ভ্যানে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের যেমন দুর্ভোগ কমেছে তেমনি বাণিজ্যে গতি বাড়ায় সরকারেরও রাজস্ব আয় বেড়েছে। কিন্তু এতেও বন্দরে জায়গা সংকট কাটছে না। বর্তমানে সব মিলিয়ে বন্দরে ৩২টি শেড ও ১০টি ইয়ার্ড রয়েছে। যেখানে পণ্য ধারণক্ষমতা মাত্র ৫১ হাজার টন। কিন্তু প্রায়ই এর চেয়ে দ্বিগুণ, কখনও তিনগুণও পণ্য আমদানি হয়। ফলে জায়গা সংকট ও পণ্যজটে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।