Finance

IMF প্রস্তাবে রাজি হল বাংলাদেশ
আই এম এফ-এর বর্ধিত ঋণদান কর্মসূচীর অন্যতম শর্ত হিসেবেই ২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষের বাজেটকে সামনে রেখে আসন্ন কর নীতির রদবদল করার জন্য তাদের দাবি মেনে নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারের রাজস্ব ক্ষতি বন্ধ করতে কী ভাবে তাদের দাওয়াই প্রয়োগ করা হবে, সে ব্যাপারে অবশ্য আই এম এফ কোনও কৌশল নির্দিষ্ট করে দেয়নি বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে রেভিনিউ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কর্পোরেট ট্যাক্সের ব্যাপারে সরকার এবং আই এম এফ-এর মধ্যে এই চুক্তির ফলে সাধারণ কর দাতাদের উপর বোঝা বাড়বে।
"মাঝারি সময়সীমার মধ্যেই আমরা আমদানি শুল্ক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস করে ফেলতে পারব এবং ধীরে ধীরে কর্পোরেট কর কমিয়ে মোট কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়াতে পারব," চুক্তির মেমোর্যান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ বলা হয়েছে।
বর্তমানে কর্পোরেট করের সর্বোচ্চ হার ৪৫ শতাংশ, যা তালিকা বহির্ভূত মোবাইল এবং সিগারেট কোম্পানিগুলি থেকে আদায় করা হয়। এই ধরণের যে সব কোম্পানিগুলি তালিকাভুক্ত, তাদের কর পাঁচ শতাংশ কম।
ব্যাংক এবং ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলির দেয় কর ৪২.৫ শতাংশ, পাবলিক ট্রেডেড কোম্পানিগুলিকে দিতে হয় ২৭.৫ শতাংশ এবং নন-ট্রেডেড কোম্পানিগুলির উপর ধার্য করের হার ৩৭.৫ শতাংশ।
ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভিনিউয়ের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আদায় করা মোট আয় করের ৬০ শতাংশই আসে কর্পোরেট কর থেকে এবং বাকিটা সাধারণ করদাতাদের থেকে।
অনেক দিন থেকেই চেম্বার অফ কমার্সগুলির পক্ষ থেকে বেশি করে কর্ম সৃষ্টি এবং শিল্পায়নের স্বার্থে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর দাবি করা হচ্ছিল।