Finance
Indian vehicles carrying onions return due to lack of permission from Bangladesh
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ : ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দরে অপেক্ষমান পেয়াজবাহী ট্রাকগুলোকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সোমবার রাত পর্যন্ত কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে বিপুল পরিমান পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই সোমবার দুপুরে রানাঘাট স্টেশনে গত আটদিন ধরে ১৬৫ র্যাক পেঁয়াজ নিয়ে যে ওয়াগনগুলো অপেক্ষা করেছিল, সোমবারও কোন সুরাহা না হওয়ায় রানাঘাট স্টেশন ছেড়ে গেছে। পেঁয়াজবাহী এই র্যাকগুলো কোথায় যাবে বিষয়টি জানতে চাইলে রানাঘাট রেলওয়ের গুডস বিভাগের জনৈক কর্মকর্তা বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী এই পেঁয়াজবাহী র্যাকগুলো যেখান থেকে বুক হয়েছে সেখানেই পৌছে দেয়া হবে। তিনি বলেন, এই র্যাকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে।
পেট্রাপোল আমদানি রফতানি সমিতির স¤পাদক কার্তিক চক্রবর্তী সরকারি বার্তা সংস্থা (বাসস)’কে বলেছেন, এই অবস্থায় ঘোজাডাঙ্গা, পেট্রাপোল , হিলিবন্দরসহ ৫টি বন্দর থেকেও বেশীরভাগ ট্রাক ফিরে গেছে। এই ট্রাকের ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।
দিল্লির সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী বাসস’কে বলেছেন, গত বুধবার পাঠানো বাংলাদেশ সরকরের লিখিত আনুরোধটুকু সৌজন্যতার খাতিরে কেন্দ্রীয় সরকারের মানা উচিৎ ছিল। কেননা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সমঝোতার চমৎকার স¤পর্ককে বিবেচনায় রেখে নতুন এলসির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরের কথা। কিন্তু বিভিন্ন বন্দরে অটকে থাকা পেঁয়াজগুলো অন্তত ছেড়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। এব্যাপারে কেনদ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণের কাছে একটি ভুল বার্তা পৌছাবে।
এ ব্যাপারে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনার তৌফিক হাসান বলেছেন, বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক গুলোর বেশীর ভাগ অন্যত্র চলে গেছে। দুই দেশের ব্যাবসয়ীদেরকে বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হ’তে হলো। তিনি বলেন, বিভিন্ন বন্দরে আটকে থাকা প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজবাহী ট্রাক ছেড়ে দেয়ার জন্য আমরা কেন্দীয় সরকারকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু এগুলোর ব্যাপারে আজও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ইতিমধ্যে প্রচুর পরিমান পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে ।
তৌফিক হাসান বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ভারত সরকার এখন থেকে নতুন করে পেঁয়াজ রফতানির জন্য মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে যেখানে প্রতি এক হাজার কেজির মূল্য ছিল ২৫০ ডলার এখন নতুন এলসির বিপরীতে তিনগুণ বৃদ্ধি করে ৭৫০ ডলারে নিদ্ধার্রণ করার হয়েছে বলে জানা গেছে। এই তিনগুণ মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা আরেকটি ধাক্কার মধ্যে পড়বে।