Finance

ঢাকার সমস্যা সমাধানে স্মার্ট সিটি হ্যাকাথন ২০১৬

ঢাকার সমস্যা সমাধানে স্মার্ট সিটি হ্যাকাথন ২০১৬

| | 04 Nov 2016, 09:57 am
ঢাকা, নভেম্বর ৪ঃ উন্নত নগর জীবনযাপনে ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আসার লক্ষ্যে প্রিনিউর ক্লাব ও হোয়াইট বোর্ডের (গ্রামীণফোনের একটি উদ্যোগ) যৌথ উদ্যোগে আগামী ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর জিপি হাউজে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্মার্ট সিটি হ্যাকাথন।

কোডার, ডিজাইনার, ইনোভেটরদের মতো প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনটি টানা ৩৬ ঘণ্টা চলবে। ম্যারাথন চলাকালে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ঢাকার সমস্যা সমাধানে নতুন ও উদ্ভাবনী ধারণার বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করবেন।

 

ঢাকা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মেগাসিটি এবং একই সাথে অবাসযোগ্য শহরের তালিকায়ও ঢাকা শীর্ষস্থানে রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে ঢাকার দুঃসহ এসব সমস্যা সমাধান বের করতে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের এ উদ্যোগে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে মোট ৩০টি দল অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিটি দলে সর্বোচ্চ ৪ জন ও সর্বনিন্ম ৩ জন সদস্য থাকতে পারবে। দলগুলো ধারণার উন্নয়ন এবং ধারণার বাস্তবায়নে সফটওয়্যার (ওয়েব/মোবাইল অ্যাপ), হার্ডওয়্যার সল্যুশন অথবা এআই নিয়ে কাজ করবে। প্রতিটি দলকে দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য একজন করে মেন্টর থাকবেন।

 

আগ্রহী দলগুলো ৫ নভেম্বরের মধ্যে www.white-board.co এই ওয়েবসাইটে গিয়ে স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনে নিবন্ধন করতে পারবেন। মনোনীত দলকে ই-মেইলের মাধ্যমে অংশগ্রহণের বিষয়ে নিশ্চিত করা হবে।

 

এই উপলক্ষে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের এই ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি এবং উন্নতি করছি। কমিউনিটির মাধ্যমেই শেখার সবচেয়ে ভালো সুযোগ আসে। শেখা, উদ্ভাবন এবং ধারণা ইনকিউবেট করার জন্য চমৎকার প্ল্যাটফর্ম স্মার্ট সিটি হ্যাকাথন। আমাদের বিশ্বাস, হোয়াইট-বোর্ড এখানে গুরুত্বপূর্ণ ও সহায়ক ভূমিকা রাখবে। জিপিহাউজে এটাই ৩৬ ঘণ্টাব্যাপী প্রথম কোনো হ্যাকাথন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে আরও বেশি সহায়ক ভূমিকা রাখবে হোয়াইট-বোর্ড।’

 

স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনে বিজয়ী দল হোয়াইট-বোর্ডের সাথে জিপির ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের মধ্যে কাজ করবে। হোয়াইট- বোর্ড বিজয়ী প্রোটোটাইপের জন্য প্রাসঙ্গিক সবধরনের জ্ঞান ও সম্পদগত সহায়তা দিবে এবং বিজয়ী ধারণা বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপনের জন্য হোয়াইট-বোর্ড একটি বিশেষ ডেমো ডে’র আয়োজন করবে। বিজয়ী দলকে প্রিনিউর ল্যাব ৬ মাসব্যাপী মেন্টরশিপ সহায়তা দিবে এছাড়াও, আইইইই বিডিএস এবং আইপিআরন-ও বিজয়ী দলকে ৬ মাসের মেন্টরশিপ সহায়তা দিবে। পাশাপাশি, বিজয়ী দলকে ইনকিউবেশন সহায়তা দিবে ডিনেট (জাংশন)। এছাড়াও, বাংলাদেশি টাকায় ২৫ লাখ টাকা করে অনুদান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে স্পাইডার ডিজিটাল (দুবাই) এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে। তাছাড়াও, বিজয়ী দল ইত্তেফাক ও রেডিও ফূর্তি থেকে মিডিয়া সহায়তা পাবে।

 

এ উদ্যোগ নিয়ে প্রেনিউর ল্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ নিজামী বলেন, ‘স্মার্ট ঢাকা হবে গতিশীল, আধুনিক এবং উন্নত। সিটি করপোরেশন, সরকার, উদ্ভাবক এবং টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এ যৌথ উদ্যোগ মহৎ কিছু সৃষ্টি করবে। এমন সুযোগ কারোই হাত ছাড়া করা উচিত হবে না।’

 

আয়োজনটিতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে আইইইই বিডি সেকশন এবং আইওটি কাউন্সিল ইউরোপ। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে রেডিও ফূর্তি, দৈনিক ইত্তেফাক এবং বিক্রয় ডট কম। কমিউনিটি পার্টনার হিসেবে রয়েছে গুগল ডেভলপার গ্রুপ, মজিলা বাংলাদেশ, ইউজার হাব, উইমেন টেকমেকারস এবং ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে স্পাইডার ডিজিটাল (দুবাই)।

 

হোয়াইট-বোর্ড এক ধরনের ইকো-সিস্টেম এনাবলার যেখানে ডিজিটাল উদ্ভাবকরা নিজেদের মধ্যে সাক্ষাৎ করে, একসাথে কাজ করে এবং আমাদের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম সামনের দিকে এনিয়ে যেতে কাজ করে। ডিজিটাল রূপান্তরের ব্যাপারে গ্রামীণফোনের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে হোয়াইট-বোর্ড। ধরণের দিক থেকে হোয়াইট-বোর্ড প্রথম কোনো উদ্যোগ। এ উদ্যোগ স্টার্টআপগুলোকে সমগোত্রীয় মানুষের সাথে তাদের ভাবনা বিনিময়ের সুযোগ ঘটিয়ে দেয় এবং তাদের জ্ঞান ও নিজেদের বিকাশের সুযোগ করে দিবে।