Finance
Maitree Bridge to increase trade between India and Pakistan
এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ সফরসঙ্গীদের নিয়ে রামগড় স্থলবন্দর এলাকায় যান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ পরিদর্শন শেষে নির্মাণকাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, মৈত্রী সেতু ও স্থলবন্দর নির্মাণ হলে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের মধ্যে একটি ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধ তৈরি হবে। পাশাপাশি পাহাড়ের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়বে। দু’দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বেশি সহজতর হবে। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানি করে উপকৃত হবে।
এ সময় ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তারিকুল হাকিম, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাহ উদ্দিন, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জুয়েল চাকমা, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করা এবং আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন।
২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর সেতুর কাজ শুরু হয়। ৪১২ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণে ভারত সরকার ৮২.৫৭ কোটি রুপি ব্যয় করছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর নির্মাণকাজ ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল শেষ হবে।