Finance

বাংলাদেশ অর্থনীতি ঃ জি ডি পি বৃদ্ধি অব্যহত

বাংলাদেশ অর্থনীতি ঃ জি ডি পি বৃদ্ধি অব্যহত

| | 28 May 2013, 05:05 am
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৮ ঃ বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমান্বয়ে মন্দা চলা সত্ত্বেও ২০০৯ থেকেই গড়ে ছ\' শতাংশ জি ডি পি বৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে বাংলাদেশ, সিটি ব্যাংক এন এ তাদের ২০১২ সালের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছে।

 বাংলাদেশ ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে দেশের জি ডি পি বৃদ্ধির হার ৬।

 
৩২ শতাংশ, যা যথেষ্ট ভাল, বিশষত যেখানে বিশ্বব্যপী ২।৫ শতাংশ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ৫।৩০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
 
এ\' বছরের জি ডি পি বৃদ্ধির হার অবশ্য গত বছরের ৬।৭ শতাংশের কম। এর কারন, কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির হার গত বছরের ৫।১৩ শতাংশ থেকে ২।৫০ শতাংশে পড়ে যাওয়া।
 
আগামী ২০১৩ অর্থ বর্ষের জন্য সরকার লক্ষ্য জি ডি পি বৃদ্ধির হার  ৭।২ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। লগ্নিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, পরিকাঠামো এবং বিদ্যুৎ অবস্থার উন্নতির সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির চিত্র কিছুটা পালটানোয় এই নতুন লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
 
রিপোর্টে জানানো হয়েছে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ২০১২-র এপ্রিল থেকে \'সিংগল ডিজিটে\' একই জায়গায় রয়েছে, ্যেখানে গড় বার্ষিক হার ২০১২-র সেপ্টেম্বরে সিংগল ডিজিটে নেমে এসেছে। এই কমে আসার বড় কারন ভাল উৎপাদনের ফলে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি এই বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ১০।৯০ শতাংশ থেকে ৬।৪৫ শতাংশে নেমে আসা। 
 
জ্বালানী এবং বিদ্যুতের উপর্যুপরি মূল্য বৃদ্ধির জন্য ২০১২-র মার্চে \'নন ফুড ইনফ্লিশন\' ১৩।৯৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েও এপ্রিল থেকেই তা কমতে থাকে, এবং নভেম্বরে তা দাঁড়ায় ৯।৩১ শতাংশে।
 
দেশের রপ্তানি আয়, যা ৫।৯৩ শতাংশ বেড়েছে, অবশ্য সরকারের ১৫।৬ শতাংশ লক্ষ্য মাত্রা থেকে অনেক পিছনে।২০১২-১৩ অর্থ বর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) রপ্তানিকৃত আয় হয়েছে ১০,১৩৩।৫৭ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ওই একই সময়ের মধ্যে যা আয় হয়েছিল, তার থেকে ৪।৩৬ শতাংশ বেশি।
 
অপর দিকে আমদানি বৃদ্ধিও ২০১১-১২ সালে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে ৫।৩০ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে ২০১০-১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪১।৭৯ শতাংশ। 
 
আমদানি বৃদ্ধির বিশাল পতন এবং অনাবাসীদের বিপুল পরিমানে টাকা দেশে পাঠানোর ফলে জুলাই-অক্টোবরে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার \'অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস\'হয়েছে।
 
নভেম্বর, ২০১২-র শেষ দিকে দেশে মোট জমা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমান ১১,৭৫৩।৯৬ মিলিয়ন ডলার,যা আগের বছরের পরিমানের থেকে প্রায় ২,৫০০ মিলিয়ন ডলার বেশি।