Finance
Need to attract youth, encourage them to invest: PM Hasina
প্রধানমন্ত্রী আবাদী জমি এবং পরিবেশ রক্ষা করে চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে স্থানীয় বিনিয়োগ ও বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্পায়নের পাশাপাশি কৃষি উন্নয়নের জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও অনুরূপ আহ্বান জানান। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সচিবালয় থেকে সংযুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন সন্দেহ নেই, আমাদের অর্থনীতি কৃষির ওপর নিভর্রশীল। তবে, আমাদেরকে আরো শিল্পায়নের প্রয়োজন। শিল্পায়ন ছাড়া কোন দেশের অগ্রগতি হতে পারে না। তিনি দেশের ভূমির পরিমান কমে আসা সত্ত্বেও বিপুল জনগোষ্ঠির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবাদি জমি রক্ষায় প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
বেজার সবোর্চ্চ নীতিনির্ধারণী গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের নিদের্শ দিয়ে বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে ডেল্টা প্লানও গ্রহন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা আবাদী জমি এবং পরিবেশ রক্ষায় একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ এলাকা নির্বাচন করেছি। তিনি বলেন, সরকার দেশে কর্মসংস্থান এবং দেশবাসীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিশেষ করে রফতানি বৃদ্ধি করতে সারাদেশে পরিকল্পিত শিল্পায়ন করতে চায়। এ লক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকায় (কেবলমাত্র রাজধানী ও বন্দর এলাকা বাদে) বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আমরা কৃষি পণ্য কাচাঁমাল হিসাবে ব্যবহার করতে একটি বিশেষ এলাকায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা। এ জন্য শিল্পোন্নয়ন এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। তিনি বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির মতো দেশের অর্থনীতির উপরেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস অবসানের পর বাংলাদেশ এবং বিশ্ব অর্থনীতি পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।