Finance
No action against three banks named in Finsen Files
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ : ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) এর ‘ফিনসেন ফাইলস’ শীর্ষক ফাঁস করা নথিতে বাংলাদেশের তিনটি ব্যাংকের নাম রয়েছে। তবে ব্যাংক তিনটির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এমনকি ব্যাংক তিনটির বিষয়টি খতিয়েও দেখা হবে না।
জানা গেছে, ‘ফিনসেন ফাইলস’ এ নাম আসা তিনটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে যাতে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, সে ব্যপারে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক (ফিনসেন) থেকেই বারণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফিনসেন ফাইলসের ফাঁস করা নথিতে বাংলাদেশের তিনটি ব্যাংকের নাম থাকলেও ব্যাংক তিনটির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এমনকি ব্যাংক তিনটির বিষয়ে আমরা খতিয়েও দেখবো না।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে বলা হয়েছে, আমরা যেন এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেই। ফিনসেনের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন এগমন্ট গ্রুপ থেকেও ব্যাংক তিনটির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে বলা হয়েছে। অনেক পুরনো বিষয়গুলো নিয়ে ফিনসেন যেহেতু তদন্ত করছে, সেহেতু তারাই এর সুরাহা করবে। আমরা আপাতত ব্যাংক তিনটির ব্যাপারে কোনও কিছুই করবো না।‘
প্রসঙ্গত, ব্যাংকগুলোর গোপন চুক্তি, অর্থ পাচার এবং আর্থিক কেলেঙ্কারি ও অপরাধের তথ্য উঠে এসেছে এই ফাঁস হওয়া ‘ফিনসেন ফাইলস’ নথিতে। এই নথির তথ্য বলছে, বাংলাদেশের তিন ব্যাংকের মাধ্যমে সন্দেহজনক বিদেশি লেনদেন সংঘটিত হয়েছে। ব্যাংক তিনটি হলো রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্কের (ফিনসেন) কাছ পাওয়া এই তথ্য ফাঁস করেছে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস। গত ১৮ বছরের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। ফাঁস হওয়া এই নথিতে দেখা গেছে, দুই লাখ কোটি ডলারেরও (২ ট্রিলিয়ন) বেশি অবৈধ অর্থ লেনদেনের অনুমতি দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে জার্মানির ডয়চে ব্যাংক। রিপোর্টটি সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজে। এর আগে পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্স নামে দুটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি। সেখানে অর্থ পাচারের তালিকায় বাংলাদেশের ৮৪ ব্যক্তির নাম উঠে এসেছিল।