Finance
Onion price and India-Bangladesh trouble
দেশীয় পিয়াজ উঠতে থাকায় এখন দাম প্রায় প্রতিদিনই কমছে। একারণে টিসিবি’র (সরকারি) পিয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। এই অবস্থায় ভারত আমদানি করা ২০ হাজার টন পিয়াজ বাংলাদেশের কাছে বেচতে চায়। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের পিয়াজ দরকার না থাকলেও সস্তায় ও পরিবহন খরচ পাওয়া গেলে অনুরোধ রক্ষা করবে বলে জানা গেছে।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য প্রিন্ট’-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, বিভিন্ন রাজ্য সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করায় বিপদে পড়েছে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানির পর ভারতের বেশিরভাগ রাজ্য সরকার তাদের চাহিদা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এই বিপদ দেখা দিয়েছে। সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার রকিবুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাংলাদেশকে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন।
বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের জ্যেষ্ঠ এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারত বিদেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজ্য সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের মাত্র ৩ হাজার মেট্রিক টন নিয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ রুপি পেরিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজ্য এই নিত্যপণ্যটি আমদানি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। এখন তারা আমদানিকৃত পেঁয়াজের উচ্চমূল্য এবং স্বাদের ভিন্নতার অজুহাত দেখিয়ে সেগুলো নিতে রাজি হচ্ছে না।
রাজ্যগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের আমদানিকৃত পেঁয়াজ নিতে রাজি না হওয়ায় সেগুলো পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভারত এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫০ হাজার থেকে ৫৯ হাজার (৬০০ থেকে ৭০০ ডলারে) টাকায় আমদানি করেছে। এখন বাংলাদেশকে এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ থেকে ৫৮০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মোদি সরকার।