Finance

Onion trouble in Bangladesh

Onion trouble in Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 02 Oct 2019, 07:55 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ২ : ভারত রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের বাজারে দুদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। খুচরা বাজারে ১১০ টাকার নিচে পেঁয়াজ নেই।

পেঁয়াজের দাম ঠিক কী কারণে বাড়ছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার মূলে হাত দেয়া হয়েছে।জানা যায়, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা মূলত কমিশনে ব্যবসা করেন। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছেন আমদানিকারকরা।


চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন বলছে, ব্যবসায়ীদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কারসাজির হোতা আমদানিকারকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির হোতা আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ তালিকা পাঠানো হবে।


জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছি। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, এখানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন বেশ কয়েকজন আমদানিকারক। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা যেহেতু কমিশনে ব্যবসা করেন, সেহেতু আমদানিকারকরা না চাইলে তাদের পক্ষে আগের দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব নয়।


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির হোতা দুই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমরা জেনেছি। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে- রিপা ট্রেডার্স ও টাটা ট্রেডার্স। এর মধ্যে রিপা ট্রেডার্সের মালিক সাতক্ষীরার বাসিন্দা বলে খবর পেয়েছি। টাটা ট্রেডার্স তার ব্যবসা পরিচালনা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে।


চলতি বছর বন্যার কারণে ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ বছর ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের মূল্য চড়া। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশটির সরকার রান্নার জন্য অতি প্রয়োজনীয় এ উপাদানটির রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের বাজারে কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম।


পেঁয়াজের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন জানান, দেশীয় ও আমদানি করা পেঁয়াজের সন্তোষজনক মজুত রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা মজুত করবেন এবং বাজার অস্থির করার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


তিনি আরও জানান, মিয়ানমার থেকে দুটি চ্যানেলে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আনার প্রক্রিয়া চলমান। তবে সময়টা বলতে চাচ্ছি না। যেকোনো মুহূর্তে আসতে পারে পেঁয়াজ।


এদিকে হঠাৎ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাজধানী ঢাকার ৩৫টি পয়েন্টে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৪৫ টাকা করে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।