Finance

বাণিজ্য মেলায় অনলাইন শপিং করবেন ঢাকার মানুষ
এটা বাংলাদেশে এখন আর কল্পনা নয়। রীতিমত বাস্তব।আর এটা সম্ভব হয়েছে স্থানীয় একটি ই-কমার্স কোম্পানি একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে (ডি আই টি এফ ) মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়ায়।
\'আমার দেশ আমার গ্রাম\' ফিউচার সলিউশন ফর বিজনেস লিমিটেডে্র (এফ এস বি) এমন একটি ই-কমার্স পদ্ধতি, যাতে করে বাণিজ্য মেলায় প্রদর্শিত যাবতীয় সম্ভার নিয়ে একটি অনলাইন বাজার তৈরি করা হয়েছে। সহায়তায়, এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো।
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী পয়লা জানুয়ারি ডিটফেশপ।কম নামে বাণিজ্য মেলার ওয়েব সাইটের উদ্বোধন করবেন। গোটা প্রোজেক্টের জন্য খরচ হয়েছে দু\'কোটি টাকা।
এফ এস বি\'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাদেকা হাসান সেজুতি জানিয়েছেন, বাণিজ্য মেলায় যোগদানকারী সমস্ত সংস্থার \'প্রোডাক্ট প্রোফাইল তৈরি করার যে কাজ তাঁরা করছেন, সে দিক থেকে এই উদ্যোগ অভূতপূর্ব। বাণিজ্য মেলায় যোগ দেওয়া প্রায় ৫০০ সংস্থার প্রত্যেকের জন্য আলাদা ই-কমার্স ওয়েব সাইট করা হবে বলে জানা গেছে।
".আমরা ওয়েব পোর্টাল ডিজাইন থেকে শুরু করে হোম ডেলিভারি পর্যন্ত বিক্রেতাদের সমস্ত রকম সাহায্য করছি," সেজুতি জানিয়েছেন।
এই পোর্টাল ডি আই টি এফ-কে মানুষের ঘরে এবং বিদেশেও পৌঁছে দেবার ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা, দু\'পক্ষই উপকৃত হবেন।
এ\'ছাড়াও, বাণিজ্য মেলায় থাকছেননা, এ\'রকম স্থানীয় উৎপাদনকারী এবং বিদেশি বিক্রেতাদের পণ্যও মানুষ এই পোর্টালের মাধ্যমে দেখতে পাবেন। এই ওয়েব সাইটটি এমন একটি সময়ে চালু হতে চলেছে, যখন বাংলাদেশে অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। এই ডিজিটাল ডি আই টি এফ পরিষেবার কাজে ৯০ জন মানুষ যুক্ত আছেন।
জানা গেছে, এই অনলাইন শপিঙের জন্য দশ শতাংশ সারভিস চার্জ নেওয়া হবে। বাংলাদেশের মধ্যে দু\'দিন এবং বিদেশে পাঁচ দিনের (ওয়ার্কিং ডে) মধ্যে ডেলিভারি করা হবে। ডিজিটাল ডি আই টি এফের মাধ্যমে কিছু কিনতে গেলে ক্রেতা ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ড্রাফ্ট কিংবা মোবাইল পেমেন্টের মাধ্যমে দাম মেটাতে পারবেন।
এফ এস বি, যারা ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্স চালু করেছিল, গ্রামের মানুষের জন্য অসাধারন ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করে গত বছর ইউনাইটেড নেশন\'স ওয়ার্ল্ড সামিট ইউথ পুরস্কার পেয়েছে। এই ই-পোর্টাল কোম্পানির সাথে চাষি, তাতি, জেলে সহ দেশের প্রায় ৫,৫০০ মানুষের সরাসরি যোগাযোগ আছে। এঁরা সকলেই তাঁদের পণ্য বেচার জন্য পোর্টালে পোস্ট করতে পারেন। মোংলা, নরসিংডি, টাংগাইল, সিরাজগঞ্জ, রংপুর এবং সিলেটের সাতটি ই-কমার্স সেন্টার থেকে এই কোম্পানি বর্তমানে তাঁদের গ্রাহকদের পরিষেবা দিচ্ছেন। এঁদের কাছে প্রায় ৮,০০০ ক্রেতার ডেটা বেস তৈরি আছে।