Finance
Rising prices: PM Hasina directs officials to assess stock of rice, paddy
অনেকসময় অসাধু ব্যবসায়ীরা কোনো কারণ ছাড়াই চালের দাম বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল করার চেষ্টা করে সরকার। সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ধান-চাল মজুতের সঠিক হিসাব থাকাটা জরুরি বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি চালের দাম ফের বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উৎপাদনের তথ্য অনুযায়ী দেশে পর্যাপ্ত ধান-চালের মজুত রয়েছে। তাই চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে সারাদেশের চালকল মালিক ও ব্যবসায়ী (ধান, চাল ও গম) পর্যায়ে কী পরিমাণ খাদ্যশস্য (ধান, চাল, গম) মজুত আছে তা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এমতাবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশে চালকল মালিক এবং ব্যবসায়ী (ধান, চাল, গম) পর্যায়ে কী পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে, এর প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদফতর সকল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের খাদ্যশস্য মজুতের বস্তুনিষ্ঠ তথ্যাদি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে অধিদফতরে জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে বলেছে। গত ২৪ আগস্ট খাদ্য অধিদফতর থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২৪ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে খাদ্যশস্যের সরকারি মোট মজুত ১৩ লাখ ১৪ হাজার টন। এরমধ্যে চাল ১০ লাখ ৭৫ হাজার টন এবং গম দুই লাখ ৩৯ হাজার টন। খাদ্যশস্যের মজুত সন্তোষজনক বলেও জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
অপরদিকে এবার বোরোতে সরকারি ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থ হতে চলেছে। চলতি বোরো মৌসুমে সরকার প্রায় ২০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ধান-চাল কেনার সময় শেষ হবে আগামী ৩১ আগস্ট। কিন্তু এখনও লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও সংগ্রহ করতে পারেনি। তাই বোরো সংগ্রহে অসযোগিতা করা চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে খাদ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে।