Finance
Several trucks held at Benapole
এতে হঠাৎ স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের মালামাল খালাস প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেও কোনো পণ্য খালাস নিতে পারছেন না আমদানিকারকরা। ভারত থেকে পণ্যবোঝাই শত শত ট্রাক আমদানিকৃত পণ্য খালাসের অপেক্ষা পড়ে আছে। পণ্য আনলোড না হওয়ায় লাখ লাখ টাকা ডেমারেজ দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। বিষয়টি বার বার জানানোর পরও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিস লজিস্টিক্যাল সিস্টেম লিমিটেডের প্রতিনিধি সুলতান আহম্মেদ বাবু বলেন, গত জুলাই মাস থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো বিল পরিশোধ করছে না। বার বার বিল পরিশোধের কথা বলা হলেও কোনো কথা তারা শুনছেন না। এদিকে আমরা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছি না। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বকেয়া বেতনের দাবিতে এর আগে আমাদের সঙ্গে বেনাপোল বন্দর পরিচালকের বৈঠক হয়। এ সময় বন্দর পরিচালক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য পাঁচদিনের সময় নিয়েছিলেন। সে কারণে আমরা কাজে যোগ দেই। ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আমরা টাকা পাইনি। শ্রমিকরা টাকার জন্য আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, ঝামেলা বন্দরের সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। আর লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়ায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য বিষয়টি স্থলবন্দর চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। শত শত কনসাইনমেন্ট সরকারি শুল্ক পরিশোধ করেও আমরা পণ্য খালাস নিতে পারছি না। এর সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।