Finance
অনেক বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আশা সম্ভব বাংলাদেশে
ঢাকা, জুলাই ১ ঃ পরিকাঠামোর সমস্যার কিছুটা সমাধান করতে পারলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে এলে আগামী তিন বছরে ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পেতে পারে বাংলাদেশ, জানিয়েছে ফরেন ইনভেস্টর'স চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
"ভৌগোলিক অবস্থান এবং কম মজুরির শ্রমিকের সহজলভ্যতার জন্য বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশের আকর্ষণ প্রশ্নাতীত," ফিকির প্রেসিডেন্ট সাইদ এরশাদ আহমেদ জানিয়েছেন।
কিন্তু এ সত্ত্বেও দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিযোগের পরিমান কম। গত বছরে দেশে এই ধরনের বিনিয়োগের পরমান ছিল ১।২৯ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সব থেকে বেশী। দু\'হাজার এগারো এবং দশে এই পরিমান ছিল যথাক্রমে ১।১৩ বিলিয়ন ডলার এবং ৯১৩।৩২ মিলিয়ন ডলার।
"কিন্তু বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও অনেক অনেক বেশি হতে পারত, যদি সড়ক যোগাযোগের সমস্যা, বিনিয়োগ নীতির ব্যাপারে ধারাবাহিকতার অভাব, সরকারি লাল ফিতের ফাঁস, সুপ্রশাসনের অভাব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রভৃতি না থাকত," আহমেদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, জুতো প্রস্তুত, পরিকাঠামো এবং কৃষি ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ আছে।
"অনেক প্রস্তাবিত বিনিয়োগ আটকে আছে, বিশেষত শ্রম নিবিড় শিল্প ক্ষেত্রে। এর কারন জমির অপ্রতুলতা এবং জমি অধিগ্রহনের ব্যাপারে সমস্যা," তিনি বলেন।
এই প্রসঙ্গে ফিকি চেয়ারম্যান তাইওয়ানের এল এস আই গ্রুপের আটকে থাকা প্লাস্টিক কারখানার কথা উল্লেখ করেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশে জমি কিনেও প্রকল্পটি এখনও শুরু হতে না পারার কারন জমির মালিকানা নিয়ে গন্ডগোল।
আহমেদ বলেন রাজনৈতিক পরিস্থিতি সুস্থির হলেই বাংলাদেশ বর্তমানে উপস্থিত, এমন অনেক বিদেশী সংস্থা আরও দু\'শো কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে পারবে।
আরও বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য তিনি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইনের আধুনিকীকরণ এবং বৌদ্ধিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান।
পঞ্চাশ বছর পূর্ন করা চেম্বারের পক্ষ থেকে আমেরিকার সঙ্গে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোয়াপরেশন ফোরাম এগ্রিমেন্টে(টিকফা) স্বাক্ষর করাকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়েছে," আরও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যে এটি একটি সদর্থক পদক্ষেপ।"