Finance
US asks to remove all obstacles on the path of Bangladesh trade
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে মঙ্গলবার (১৪ মে) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ট্রেড উইন্ডস ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম অ্যান্ড মিশন’-এ অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এগিয়ে নিতে ইয়ান স্টেফ ১১ থেকে ১৩ মে ঢাকা সফর করেন।
সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী তার প্রথম ঢাকা সফরের সময় বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ এবং ব্যবসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ইয়ান স্টেফ সোমবার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, জনসংখ্যার আকারে বাংলাদেশের স্থান বিশ্বে অষ্টম। এ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বিশ্বে সর্বোচ্চগুলোর অন্যতম। আর তাই বাংলাদেশের ক্রমে বেশি করে স্বচ্ছল হয়ে ওঠা কোটি কোটি ভোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যবসার বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী স্টেফ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা ক্রমে সম্প্রসারিত হচ্ছে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়ে চলা ও আমাদের বাণিজ্য মিশনে কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অংশগ্রহণই এর প্রমাণ। আমি এ ব্যাপারে আস্থাবান যে বিনিয়োগ পরিবেশ, মেধাস্বত্ব অধিকার ও শ্রমিকদের বিষয়গুলো সমাধানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহতভাবে জোরদার হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ট্রেড উইন্ডস ইন্দো-প্যাসিফিক সাম্প্রতিক ইতিহাসে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতরের পাঠানো প্রথম বড় বাণিজ্য মিশন। বাংলাদেশ যে ন্যায্য ও পারস্পরিক বাণিজ্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে প্রস্তুত, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর আস্থা এ মিশনে তাদের বড় সংখ্যায় অংশগ্রহণ থেকেই বোঝা যায়। বাণিজ্য মিশনটি গত ৬ মে ভারতের নয়াদিল্লিতে শুরু এবং ১৩ মে ঢাকায় শেষ হয়।