Finance

কন্টেইনার সঙ্কট, শঙ্কায় পোশাক খাত
সংগৃহিত আটকে যাওয়া কন্টেনার

কন্টেইনার সঙ্কট, শঙ্কায় পোশাক খাত

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 06 Jan 2021, 07:37 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ জানুয়ারি ২০২১: দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ ভাগ আসে পোশাক খাত থেকে। তবে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য খাতের মতো এই খাতও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। করোনা রোধে লকডাউন জারির কারণে পোশাক কারখানা বন্ধসহ বিদেশি ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন খাত সংশ্লিষ্টরা। রফতানি খাতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ কিছুটা স্বস্তি দিলেও বাধ সেধেছে বিশ্বব্যাপী কন্টেইনার ও জাহাজ সঙ্কট।

রফতানিকারকরা কন্টেইনার সঙ্কটের মধ্যে এয়ারের (উড়োজাহাজ) মাধ্যমে পোশাক ডেলিভারিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ, লাভের অংশ চলে যাচ্ছে উড়োজাহাজ ভাড়ায়। তবে এসব সমস্যার মধ্যে পোশাক খাতে দ্রুত স্বস্তি ফিরবে বলে আশা খাত সংশ্লিষ্টদের।

জানা যায়, বিশ্বব্যাপী সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এর আগে যে জাহাজে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ২১ দিনে সম্ভব হতো, সেটা এখন ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন পড়ছে। এতে বন্দরে কন্টেইনার আটকে যাচ্ছে, আবার কন্টেইনার খালাস না হওয়ায় জাহাজও একই পরিস্থিতিতে পড়ছে। এতে তীব্র কন্টেইনার ও জাহাজ সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় বিকল্প পদ্ধতিতে (উড়োজাহাজ) পণ্য রফতানি করতে হচ্ছে। ক্রেতা আর বাজার ধরে রাখতে বাধ্য হয়ে এভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন, শ্রমিকের মজুরি আর বিমান ভাড়ায় সব চলে যাচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে রফতানিকারকদের।

পোশাক খাতের আরও বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা বলছেন, বিশ্বব্যাপী জাহাজ, খালি কন্টেইনার সঙ্কটের কারণে পণ্য আমদানির খরচ বেড়েছে। জানুয়ারির শুরুতে ফের জল যাতায়াতের খরচ বাড়তে পারে। শিল্পের কাঁচামাল, ভোগ্যপণ্য বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয় জাহাজের মাধ্যমে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জাহাজ চলাচলের সময়সূচি বিঘ্নিত হয়েছে, সে জট এখনও অব্যাহত। এ কারণে খালি কন্টেইনারের অভাব আমদানি বাণিজ্যকে আরও কঠিন করেছে।

এদিকে ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীন থেকে ফল আমদানি করে। জাহাজ চলাচলের খরচ বাড়ার কারণে ফলের দামও বৃদ্ধি পাবে। তারা বলন, ফি বাড়ার আগে সাড়ে ৮ থেকে ৯ ডলারে ২০ কেজি আপেলের কার্টন পাওয়া যেত, যা এখন ১১ থেকে ১২ ডলারে ঠেকেছে। এর ফলে বাড়তি দামে ক্রেতাদের ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। খুব শিগগিরই অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।