Finance
দঃ কোরিয়া থেকে আরও বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
ঢাকা, জুন ২৪ ঃ পরিকাঠামো এবং মানবশক্তি উন্নয়নে দক্ষিন কোরিয়া থেকে আরও বেশি লগ্নি আশা করে বাংলাদেশ।
দু\'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে এ\'কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন দক্ষিন কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে নিতে চায়, কেননা দু\'দেশেরই একে অন্যকে অনেক কিছু দেওয়ার রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভি বলেন বাংলাদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে \'প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ\'-এর মাধ্যমে কোরিয়ান কোম্পানিগুলির আরও বেশি করে পুঁজি বিনিয়োগ করা দরকার।
"আমরা চাই আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হোক। বাংলাদেশের মত কোরিয়ার ইতিহাসও সংগ্রামের ইতিহাস, যদিও সেই দেশ এখন পৃথিবীর ১৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি। কোরিয়ার কাছে আমাদের শেখার আছে," দীপু মনি বলেন।
" আমাদের দেশের সবথেকে বড় রপ্তানি দ্রব্য, তৈরি পোষাকের শিল্পের ক্ষেত্রে কোরিয়ার অবদান আমরা স্মরণ করি। আশা করছি শিগগিরই আবহাওয়া পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও আমরা একসাথে কাজ করব," তিনি বলেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে গওহর বলেন, "কোরিয়া বরাবরই বাংলাদেশের ভাল বন্ধু। আমাদের দেশের তৈরি পোষাক শিল্পে কোরিয়া থেকেই প্রথম বিদেশী বিনিয়োগ করা হয়।বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও এখানে তাদের বিনিয়োগ আছে।এখন বাংলাদেশ দারিদ্র দূরীকরণ, সামাজিক সুরক্ষা এবং অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ভাল অবস্থায়। সুতরাং কোরিয়া এখানে তাদের বিনিয়োগ আরও বাড়াতে পারে।"
দক্ষিন কোরিয়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাকাডেমির ডিরেকটর জেনারেল হিয়ুন-উক কিম বলেন আর্থিক অগ্রগতি সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্মসূচীর ফলে কোরিয়ান উপদ্বীপে বজায় থাকা উত্তেজনা এখনও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
উনিশশো তিয়াত্তর সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিন কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু। এর দু\'বছর পরে ঢাকায় দক্ষিন কোরিয়ার দূতাবাস স্থাপিত হয়।