Finance

তাজরিন-যোগের দায়ে চালান ফেরাল ওয়াল মার্ট

তাজরিন-যোগের দায়ে চালান ফেরাল ওয়াল মার্ট

| | 28 May 2013, 05:06 am
তাজরিন ফ্যাশনসের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার জন্য বাংলাদেশের একটি বস্ত্র রপ্তানিকারী সংস্থার মাল নিলনা মার্কিণ বহুজাতিক সংস্থা ওয়াল মার্ট।

 ঢাকার সিমকো গ্রুপ ্তাদের নিউ ইয়র্কের সোর্সিং কোম্পানি \'সাকসেস\'-এর মাধ্যমে ওয়াল মার্টকে ৩৯০,০০০ ডলার মূল্যের ১৩০,০০০ টি মহিলাদের শর্টস পাঠিয়েছিল। গত বছর অগাস্ট মাসে সাকসেসের মাধ্যমেই সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে ওয়াল মার্ট থেকে এই অর্ডার তার পেয়েছিল। এর পরে সিমকো অক্টোবর মাসে চিন থেকে ফ্যাব্রিকস এবং অন্যান্য মাল রপ্তানি করতে শুরু করে। 

 
ঈদ-উল-আজহা পরবের সময়ে শ্রমিক কমে যাওয়ায় সিমকো নভেম্বর মাসে তাজরিন ফ্যাশনসের হোল্ডিং কোম্পানি ট্যুবা গ্রুপের সাথে একটি আলাদা সাব-কন্ট্রাক্ট চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, ট্যুবা তাদের ট্যুবা ফ্যাশনস কারখানায় ২৫,০০০ টি অর্ডার দেওয়া মাল বানাবে বলে কথা ছিল। কিন্তু সিমকোকে না জানিয়ে ট্যুবা শর্টসগুলি তাজরিন ফ্যাশনসে বানায়। এই তাজরিনের কারখানায় ভয়াবহ আগুনে নভেম্বর মাসে ১১২ জন শ্রমিক পুড়ে মারা যান। 
 
তাদের অর্ডার দেওয়া মাল তৈরির ব্যাপারে তাজরিন ফ্যাশনস জড়িত জানতে পেরে ওয়াল মার্ট লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে জাহাজে পৌঁছান চালান নিতে অস্বীকার করে। প্রথম দফায় পৌছান ওই মাল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই খালাস হওয়ার কথা ছিল। সাকসেসের সাথে সিমকোর করা ওয়াল মার্টের জন্য ৩৩৬,০০০ পিস শর্টস বানিয়ে সরবরাহ করার ১।২ মিলিয়ন ডলারের চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম দফার মালগুলি পাঠান হয়েছিল। 
 
সিমকোর ডিরেকটর মুজাফফর সিদ্দিকি জানিয়েছেন, তাজরিন অগ্নি কান্ডের পর ওয়াল মার্ট সাকসেসের সঙ্গে তাদের সমস্ত রকম ব্যবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ করে দেয় এবং পাঠান মাল নিতে অস্বীকার করে। 
 
এই ব্যাপারে বাংলাদেশ গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়শনের প্রেসিডেন্ট শইফুল ইসলাম মহিউদ্দিন ওয়াল মার্টের কর্তাদের সাথে দেখা করলেও ইতিবাচক কোনও সাড়া মেলেনি। 
 
"বারো লক্ষ ডলারের পুরো অর্ডারটাই নষ্ট হল। এখন পাঠান মালের দাম যদি না পাই, তবে কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে," সিদ্দিকি বলেছেন। 
 
মহিউদ্দিন ওয়াল মার্টকে চিঠি লিখেও তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এ\' কথা জানান হয়েছিল, সিমকো আর্থিক ভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত। ওয়াল মার্টের কর্তাদের সাথে বৈঠকেও মহিউদ্দিন জানিয়েছিলেন তাদের এই অত্যন্ত কড়া সিধান্তের ফলে সিমকো দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। আর সিমকো দেউলিয়া হলে অন্তত ২,০০০ শ্রমিক কাজ হারাবেন।