Muktijudho

শুনানির দিন আবার পিছোল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে

শুনানির দিন আবার পিছোল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে

| | 27 May 2013, 11:50 am
ঢাকা, ডিসেম্বর ১৪ ঃ আত্মপক্ষ সমর্থনকারীদের এক রকম অনুপস্থিতিতেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়টি শুনানির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসার পরে চার দিনের জন্য মুলতুবি হয়ে যায়।

 যা অনুমান করা গিয়েছিল তাই হল। জামাত-এ-ইসলামির পক্ষের কৌঁসুলিরা ১৩ই ডিসেম্বরের শুনানিতে উপস্থিত থাকলেন না। এই দিন আবার বিরোধীরা সারা দেশব্যাপী ধর্মঘট ডেকেছিল।

 
এই দিন শুনানির জন্য জামাত প্রধান গুলাম আজমের ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকার কথা ছিল, কিন্তু তিনি আসেননি। তবে বিবাদী পক্ষের প্রতিকী প্রতিনিধি হিসেব মিজানুর রহমান ছিলেন এবং তাঁর আবেদনক্রমে ট্রাইবুনালকে গত সপ্তাহ থেকে এই নিয়ে তিন বার শুনানি মুলতুবি রাখতে হয়। 
 
উনিশশো একাত্তর সালে বাংলাদেশের ন\' মাস ব্যাপী স্বাধীনতার যুদ্ধ চলাকালীন ঘটে যাওয়া মানবতা-বিরোধী অপরাধগুলির বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শুনানির দিন ১৭ ডিসেম্বর অবধি পিছিয়ে দেন। ঐ দিন বিবাদী পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের সামনে সাক্ষ্য পেশ করে হাজিরা দিতে দেরীর কারন ব্যাখ্যা করার কথা।
 
ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুসারে, আত্মপক্ষ সমর্থনকারীদের আরো সাক্ষ্য পেশ করতে দেওয়া হবে, তবে সাক্ষীর ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট না হলে সাক্ষ্য ছাড়াই বিচার চলবে।
 
আত্মপক্ষ সমর্থনকারীদের তরফে প্রথম সাক্ষী, গোলাম আজমের পুত্র আব্দুল্লা আমান আজমি তাঁর বাবার সপক্ষে সাক্ষ্য পেশ করবেন। 
 
গতকাল ট্রাইব্যুনাল মুলতুবির জন্য মিজানুর রহমানকে লিখিত আবেদন করতে বলে, তবে এটাও জানায় তাঁর মৌখিক আবেদন গ্রাহ্য করা হচ্ছে। ."আমরা পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত মুলতুবির অনুমতি দিচ্ছি, তবে আপনি আবেদন পত্র জমা দিলে সেই নির্দেশ দেওয়া হবে," বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেন বলেন। 
 
উনিশশো একাত্তরের মে মাসের ১৩ তারিখে মানবতা-বিরোধী অপরাধে জড়িত থাকা, প্ররোচনা দেওয়া এবং পরিকল্পনা করার জন্য গোলাম আজমকে প্রথম ট্রাইব্যুনাল দায়ী করেছে। 
 
ট্রাইব্যুনালের প্রক্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হকের ইন্টারনেট ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করা \'আমার দেশ\' পত্রিকার প্রতিবেদনের উপরেও এ\'দিন আদেশ ঘোষণা করার কথা ছিল। এই ব্যাপারে কৌঁসুলি সঈদ হায়দার আলি ট্রাইব্যুনালের দৃষ্টি আকর্ষন করে প্রাত্যহিকটির কর্তৃপক্ষকে আদালতে ডেকে এক জন বিচারপতির ব্যক্তি জীবন লঙ্ঘন (ভায়োলেশন অফ আ জাজেস প্রাইভেসি) করার ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাইতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কৌঁসুলি গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সুতরাং এই ব্যাপারটিও সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হয়।