Muktijudho
Award winning Muktijoddha to get special fund
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্মরণীয় রাখতে তাদের সম্মানী ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে শেখ হাসিনার সরকার। দেশে বর্তমানে এক লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ১২ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতাও দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু অন্যান্য ক্যাটাগরির মুক্তিযোদ্ধারা উৎসব ভাতা পেলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা এ ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়, মক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে আশার কথা হচ্ছে, গত ১৭ আগস্ট খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসব ভাতা প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগও গ্রহণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। হয়তো খুব শিগগিরই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা উৎসব ভাতা পাবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন কেন তারা পেলেন না?
এমন প্রশ্নে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাসোসিয়েশন বলছে, নিছক আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এতদিন আটকে আছে তাদের ভাতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তারা তো (খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা) বিভিন্ন ধরনের ভাতা পেয়ে থাকেন। তাই এ ভাতার বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তবে এবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারাও উৎসব ভাতা পাবেন।’
এ প্রসঙ্গে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আলহাজ মো. শাহজাহান কবির, বীর প্রতীক জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার নিয়ে আমরা চারবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব বরাবর উৎসব ভাতার জন্য চিঠি লিখেছি। এ বিষয়ে যখনই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি, তিনি একটা আবেদন লিখতে বলেন। মন্ত্রীর পরামর্শে সচিব বরাবর আবেদন লিখি, কিন্তু কোনো কাজ হয় না। তাই আমরা এতদিন ধরে উৎসব ভাতা বঞ্চিতই রয়ে গেছি।’
বর্তমানে খেতাবপ্রাপ্তরা ছাড়া অন্য মুক্তিযোদ্ধারা মাসে ১২ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন। সঙ্গে বছরে ১০ হাজার টাকা করে দুটি উৎসব ভাতাও পাচ্ছেন।