Muktijudho
Bangladesh trying to gather information regarding Bangabandhu's stay at Pakistan prison: PM Hasina
বুধবার সংসদে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কারাগারের রোজনামচা’ মূলত ১৯৬৬ সাল থেকে ৬৮ সাল পর্যন্ত। একাত্তর সাল থেকে আমরা উনার কোনো লেখা পাইনি। কারণ একাত্তর সালে উনি কারাগারে (পাকিস্তানে) কিভাবে ছিলেন, কী অবস্থায় ছিলেন, আসলে তার কিছু আমরা জানিনা। সামান্য একটা লাইন পাওয়া গেছে, আইয়ুব খানের ডায়েরি, অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত। সেখানে উনার সম্পর্কে কিছু কমেন্ট করা আছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন কোর্টে নিয়ে আসা হত, উনি আসতেন, দাঁড়াতেন, বসতে বললে বসতেন। উনি এসে দাঁড়িয়েই নাকি জয় বাংলাদেশ বলতেন। বলতেন, আমাকে যা খুশি তাই করো, আমার যেটা করার আমি তা করে ফেলেছি। অর্থাৎ আমার বাংলাদেশ তো স্বাধীন হবেই। এর বাইরে একাত্তরের কিছু আমি পাইনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনও আমার চেষ্টা আছে ওখান (পাকিস্তান) থেকে কোনো কিছু উদ্ধার করা যায় কী না?
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ি থেকে পাকিস্তানি সেনারা আটক করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ওই রাতেই বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর শুরু হয় বর্বর হামলা। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তার ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। মুক্তির পর তিনি লন্ডন যান। সেখান থেকে ১০ জানুয়ারি দিল্লি হয়ে পৌঁছান ঢাকায়।
দেশের জেলখানার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আর আমি জেলখানায় ছবি আনতে গিয়েছিলাম। জেলখানা ভেঙ্গে নতুনভাবে করা হয়েছে। ছোট্ট একখানা দেয়ালের ছবি পেয়েছি, আর কিছু পাইনি। তবে আমার চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি।
অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মত ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা’ নামে আরেকটি বই প্রকাশ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, জাতির পিতা তার জীবদ্দশায় পরিবারের সদস্যদের কাছে কখনও জেলজীবনের দুঃখকষ্টের কথা বলতেন না।