Muktijudho

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিরুদ্ধে রায় সেপ্টেম্বর ২

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিরুদ্ধে রায় সেপ্টেম্বর ২

| | 22 Aug 2013, 01:35 pm
ঢাকা, অগাস্ট ২২: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি অবমাননার পিটিশনের শুনানি সম্পূর্ণ করে।

 ট্রাইব্যুনাল জানায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিরুদ্ধে রায় সেপ্টেম্বর ২এ শোনানো হবে।

 
অগাস্ট ২০তে যুদ্ধাপরাধীদের প্রসিকিউশন এই পিটিশন দায়ের করে।
 
প্রসঙ্গত, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অগাস্ট ১৬এ নিউ ইয়র্ক থেকে জানায় যে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভ্রান্ত কার্যধারার ওপর ভিত্তি করে।
 
"হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দীর্ঘদিন ধরে ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সময় হওয়া নৃশংসতার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারকে সমর্থন করে এসেছে। কিন্তু সেই বিচারকার্য হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক মানের," বলেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া ডাইরেক্টর ব্রাড আদমস।
 
"গোলাম আজমের বিচারকার্যের সময় আমরা সাবধান করেছিলাম যে ট্রায়াল প্রসেসে ঘাটতি থাকছে; কিন্তু সরকার তাতে কান দেয় নি। সরকার তাঁকে যা সাজা দিতে চাইল তা করতে পারলেও একটি চূড়ান্ত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রায় দিতে পারল না যে গোলাম আজমসত্যই অপরাধী কিনা," তিনি বলেন। 
 
 বাংলাদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টে দরখাস্ত করেছে জামাত গুরু গোলাম আজমের মৃত্যু প্রার্থনা করে ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, এবং অন্যান্য অপরাধের পরিকল্পনা করার জন্য।
 
 জুলাই ১৫এ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জামাত-এ-ইসলামীর প্রাক্তন চিফ গোলাম আজমকে ৯০ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা শোনায় ১৯৭১-এ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্যে।
 
জাস্টিস এটিএম ফাজলে কবির, জাস্টিস জাহাঙ্গীর হোসেন ও জাস্টিস আনোয়ারুল হক জনাকীর্ণ আদাল এই রায় ঘোষণা করেন।
 
প্রসিকিউটর জায়েদ-আল-মালুম জানান এই রায়ে তাঁরা পুরোপুরি খুশি হতে পারছেন না কেননা তাঁরা সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছিলেন।
 
"যদিও আজমের বিরুদ্ধে পাঁচটি বিভাগে ৬১টি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু তাঁর বয়স ও অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেয়," মালুম বলেন।
 
আজমের এক পুত্র আব্দুল্লাহিল আমন আজমি সাংবাদিকদের বলেন এই রায় একটি অন্যায়।
 
আজমকে ১০ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয় ষড়যন্ত্রের অপরাধে, ১০ বছর পরিকল্পনা, ২০ বছর প্ররোচনা, ২০ বছর দুষ্কর্মে সহায়তা বা অংশগ্রহণ ও ৩০ বছর হত্যার অপরাধে।
 
এইটি স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পঞ্চম রায়।
       
এই রায়ের পরে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ তাঁর দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন যুদ্ধাপরাধীগোলাম আজমের কারাবাসের সাজার প্রতি।
 
"আমি বলি নি যে আওয়ামী লীগ এই রায়ে খুশি বা সন্তুষ্ট। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে এই রায় আমাদের দলের ও বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত ছিল না। তবুও আমরা আমাদের সন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম এই জন্যে যে ট্রাইব্যুনাল গোলাম আজমকে পাঁচটি চার্জেই দোষী ঘোষণা করেছে," হানিফ বলেন।
 
হানিফ আগে বলেছিলেন যে লীগ আজমের ৯০ বছরের কারাবাসের সাজার রায়ে খুশি। 
 
"মানুষ গোলাম আজমের ফাঁসির আশা করছিল। কিন্তু তবুও আমরা খুশি যে তাঁর ৯০ বছরের কারাবাসের সাজা হয়েছে," হানিফ বলেন।