Muktijudho

Muktijoddha warriors to get upto Rs. 50,000 as treatment fee

Muktijoddha warriors to get upto Rs. 50,000 as treatment fee

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 23 Jul 2018, 06:35 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ২৩ : উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা।

 এ জন্য হাসপাতালগুলোকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

 

মুক্তিযোদ্ধারা সব পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সুবিধা দিতে রোববার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

 

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এতে স্বাক্ষর করেন।

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।


মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪টি বিশেষায়িত হাসপাতালকে ১৫ লাখ টাকা করে অগ্রিম দেয়া হবে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনুযায়ী উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় হাসপাতালগুলোকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে দেয়া হবে। সোমবার মধ্যেই এই টাকা তাদের কাছে চলে যাবে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সহযোগিতা পাবেন।


মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসার পর তিনি প্রথম ঘোষণা দিয়েছিলেন কিছু বেড (হাসপাতালের সিট) মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রিজার্ভ থাকবে।

 

চিকিৎসা পাবেন কিন্তু এতে প্রয়োজন মিটছিল না, তাই আমরা এটকে আরও সম্প্রসারিত করে যাতে শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে পারি, সেজন্য সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।

 

তিনি বলেন, ‘ওষুধপত্র, বিভিন্ন টেস্ট, হাসপাতালের সিট ভাড়াসহ যা যা আছে বিনামূল্যে দেয়া হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে তার পকেট থেকে কোনো অর্থই ব্যয় করতে হবে না।


স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধা নানারকম অসুখে আক্রান্ত।

 

মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আমরা পালন করছি। আমি কথা দিচ্ছি, আমরা এটি সম্পাদন করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ। অবশ্যই করব।


সূত্র জানায়, বর্তমানে জীবিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখের কিছু বেশি। তারা সকলেই এখন প্রায় ষাটোর্ধ্ব, জীবন সায়াহ্নে তারা উপস্থিত। বাধ্যর্ক্যরে কারণে তারা নানা জটিল রোগে ভুগছেন।