Muktijudho

মুক্তি যুদ্ধ-বিরোধীদের কখনোই সমর্থন নয় ঃ ভারত

মুক্তি যুদ্ধ-বিরোধীদের কখনোই সমর্থন নয় ঃ ভারত

| | 27 May 2013, 11:51 am
ঢাকা, ডিসেম্বর ২০ ঃ উনিশশো একাত্তর সালে যারা বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল, ভারত কখনোই তাদের পিছনে দাঁড়াবেনা, ঢাকায় নিযুক্ত অস্থায়ী ভারতীয় হাই কমিশনের সন্দীপ চক্রবর্তী এ\' কথা জানিয়েছেন।

 এক আলোচনা চক্রে তিনি বলেছেন, এই মর্মে ভারতের সর্ব্বোচ্চ স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 
“যারা এক সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে ছিল, ভারত কখনো তাদের পিছনে দাঁড়াবেনা। আমি যা বলছি, তা শুধু আমার কথা নয়, ভারতের প্রধান মন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টেরও বক্তব্য,” চক্রবর্তী বলেন।
 
বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় সেই দেশের পাশে দাঁড়ানো ভারত এক কোটির উপর উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছিল, মুক্তি যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল এবং এর পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। 
 
এরই কৃতজ্ঞ প্রতিদান হিসেবে ভারতের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিতে তাঁর অতুলনীয় সাহায্য ও অবদানের জন্য গত বছর জুলাই মাসে মরনোত্তর ‘বাংলাদেশ ফ্রিডম অনার’ প্রদান করা হয়। তাঁর পুত্রবধূ এবং বর্তমানে ভারতের শাসক দল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধী সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন। ‘বিদেশি বন্ধু’দের মধ্যে ইন্দিরা গান্ধীই প্রথম যিনি বাংলাদেশের এই সর্ব্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হন।
 
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সব বিদেশী বন্ধুর অবদান ছিল, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁদের নিয়মিত ভাবে এই সম্মান প্রদান করা হচ্ছে।
 
দ্বিতীয় পর্যায়ে, এই বছরের ২৭ শে মার্চ ৮৩ জনকে এবং তৃতীয় পর্যায়ে, অক্টোবরের কুড়ি তারিখ আরো ৬১ জনকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হয়। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ, অর্থাৎ বিজয় মাসে, বাংলাদেশ ৬০ জন ব্যক্তি এবং দু’টি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত করে।
 
শেষতম পর্যায়ে যে সব বিদেশি বন্ধুদের পুরষ্কৃত করা হয় তাঁদের মধ্যে আছেন ভারতীয় কম্যুন্সট নেত্রী ইলা মিত্র এবং তাঁর স্বামী রমেন্দ্র মিত্র, সংগীত জগতের কিংবদন্তি সুরকার সলিল চৌধুরি, গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও মান্না দে, চলচ্চিত্র নির্দেশক ঋত্বিক ঘটক এবং চিত্র শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন।
 
ভারতীয় কূটনীতিক চক্রবর্তী এ’কথাও জানান যে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাদের সম্মান জানানোর প্রয়াস একটি ‘বিরাট পদক্ষেপ।‘ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-বাংলাদেশের হৃদ্যতার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
 
তিনি বলেন, উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।
 
বাংলাদেশের ৪২ তম বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ এই আলোচনার আয়োজন করেছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর প্রধান অতিথির ভাষণ দেন।