Muktijudho

মুক্তিযুদ্ধঃ গোলাম আজমের মৃত্যু চাইল সরকার

মুক্তিযুদ্ধঃ গোলাম আজমের মৃত্যু চাইল সরকার

| | 13 Aug 2013, 11:56 am
ঢাকা, অগাস্ট ১২: বাংলাদেশ সরকার সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দরখাস্ত করে জামাত গুরু গোলাম আজমের মৃত্যু প্রার্থনা করে ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, এবং অন্যান্য অপরাধের পরিকল্পনা করার জন্য।

 জুলাই ১৫এ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জামাত-এ-ইসলামীর প্রাক্তন চিফ গোলাম আজমকে ৯০ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা শোনায় ১৯৭১-এ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্যে।

 
জাস্টিস এটিএম ফাজলে কবির, জাস্টিস জাহাঙ্গীর হোসেন ও জাস্টিস আনোয়ারুল হক জনাকীর্ণ আদাল এই রায় ঘোষণা করেন।
 
প্রসিকিউটর জায়েদ-আল-মালুম জানান এই রায়ে তাঁরা পুরোপুরি খুশি হতে পারছেন না কেননা তাঁরা সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছিলেন।
 
"যদিও আজমের বিরুদ্ধে পাঁচটি বিভাগে ৬১টি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু তাঁর বয়স ও অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেয়," মালুম বলেন।
 
আজমের এক পুত্র আব্দুল্লাহিল আমন আজমি সাংবাদিকদের বলেন এই রায় একটি অন্যায়।
 
আজমকে ১০ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয় ষড়যন্ত্রের অপরাধে, ১০ বছর পরিকল্পনা, ২০ বছর প্ররোচনা, ২০ বছর দুষ্কর্মে সহায়তা বা অংশগ্রহণ ও ৩০ বছর হত্যার অপরাধে।
 
এইটি স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পঞ্চম রায়।
       
এই রায়ের পরে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ তাঁর দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের কারাবাসের সাজার প্রতি।
 
"আমি বলি নি যে আওয়ামী লীগ এই রায়ে খুশি বা সন্তুষ্ট। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে এই রায় আমাদের দলের ও বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত ছিল না। তবুও আমরা আমাদের সন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম এই জন্যে যে ট্রাইব্যুনাল গোলাম আজমকে পাঁচটি চার্জেই দোষী ঘোষণা করেছে," হানিফ বলেন।
 
হানিফ আগে বলেছিলেন যে লীগ আজমের ৯০ বছরের কারাবাসের সাজার রায়ে খুশি। 
 
"মানুষ গোলাম আজমের ফাঁসির আশা করছিল। কিন্তু তবুও আমরা খুশি যে তাঁর ৯০ বছরের কারাবাসের সাজা হয়েছে," হানিফ বলেন।