Muktijudho

Special award for Bangladesh freedom fighters

Special award for Bangladesh freedom fighters

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 26 Apr 2019, 07:55 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ২৬ : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের দুই লাখের বেশি নারীর সম্ভ্রম কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি সেনাদের বিচারের দাবিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর ১৯ বীরাঙ্গনার স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতন, সহায়-সম্পদে অগ্নিসংযোগের জন্য পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে দু:খ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করার দাবিও জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে। স্থানীয় সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি আমিনা বেগম মিনা এবং আজিজুল হক বকুল।

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারীর সকলেই সিরাজগঞ্জের অধিবাসী। সিরাজগঞ্জ থেকেই নিউ ইয়র্কে নিজ খরচে এসেছেন এই মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি। স্মারকলিপিতে বীরাঙ্গনাদের সুন্দরভাবে দিনাতিপাতের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণের আবেদনও করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘দেশমাতৃকার মুক্তির জন্যে নিজের সর্বস্ব খুইয়েছেন যে নারীরা তারা খেয়ে, না খেয়ে সমাজে অপাংক্তেয় হিসেবে বসবাস করছেন। অথচ তারাও বীর মুক্তিযোদ্ধা। যে সময়ে এহেন জঘন্য অপকর্ম সংগঠিত হয়েছে, তখনও এ বিশ্ব সভ্য ছিল। এখনো সভ্য সমাজেই বাস করছি। এখন যদি শিশু ঘ্যুা ও নারী ধর্ষষের বিচার হয়, সেদিনের ধর্ষণের বিচার হবে না কেন? আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেই পাকিস্তানি হায়েনাদের বিচার করতে হবে। তাহলেই বিরঙ্গনারা শান্তি পাবেন।’


স্মারকলিপির কপি দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাকেও। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী বীরাঙ্গনারা হলেন- আছিয়া বেগম, খোদেজা বেগম, কমলা বেওয়া, আয়মনা বেগম, আয়েশা বেগম, করিমন বেগম, জয়গুন বেগম, নূরজাহান বেগম, বানু খাতুন, রাহেলা বেওয়া, সামিনা খাতুন, সুরাইয়া খাতুন, হামিদা খাতুন, হাসিনা বেগম, মাহেলা বেগম, হাজেরা খাতুন, রহিমা বেওয়া প্রমুখ।


স্মারকলিপি দেওয়ার পরপরই আমিনা বেগম মিনা এবং আজিজুল হক বকুল জ্যাকসন হাইটসে যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আমিনা বেগম মিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিরেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছি মুক্তিযোদ্ধারা। প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য হলেও মাসিক ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছি। বছরে কয়েকটি বোনাসও দেয়া হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের। বীরঙ্গনাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যা ক’বছর আগেও ছিল অকল্পনীয়।’