Muktijudho
Tipu Sultan gets death sentence
এর আগে ১৭ অক্টোবর এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষে যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে সিএভি (রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ) রাখেন আদালুত। পরে সোমবার রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ২৭ মার্চ এ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে একই বছরের ৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজশাহীর বোয়ালীয়ায় দশজনকে হত্যা, দুইজনকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে নির্যাতন, ১২ থেকে ১৩টি বাড়ির মালামাল লুট করে আগুন দেওয়ার অপরাধ উঠে এসেছে তদন্তে। এসব অপরাধে এ আসামির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি আর্মি ও স্থানীয় রাজাকাররা। স্থানীয় সেইসব রাজাকারদের মধ্যে টিপু সুলতানই বেঁচে আছেন।
আসামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৪ সালে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর ডিগ্রি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে অবসরে যান।
তদন্ত সংস্থা আরও জানায়, ১৯৮৪ সালের পর সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও আসামি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক। ১৯৭৪ সালের ১০ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তিনি ছাড়া পান। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বিস্ফোরক আইনের মামলায় মতিহার থানার পুলিশ তাকে ফের গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।