Muktijudho

জাতীয় নেতাদের হত্যাকারীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন খোন্দকার মুস্তাকক ঃ কৌঁসুলি

জাতীয় নেতাদের হত্যাকারীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন খোন্দকার মুস্তাকক ঃ কৌঁসুলি

| | 27 May 2013, 01:06 pm
জেলের ভিতর খুন হওয়া চার শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার হত্যাকারীদের সাথে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মুস্তাক ১৯৭৫ সালের ২রা নভেম্বর দেখা করেছিলেন এবং সেখানেই হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে দাবী করলেন মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি আনিসুল হক।

 ঐ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রিসালদার মুসলিমুদ্দিন, দফাদার মারফাত আলি শাহ এবং দফাদার আবদুল হাশেম মৃধা তার পরের দিনই হত্যা কার্য সম্পন্ন করতে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের ভিতর যায়। 

 
নিম্ন আদালতের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে হক আজ সুপ্রিম কোর্টে এই বিবৃতি দিয়েছেন।
 
তিনি আদালতকে আরও বলেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফোন করে জেল কর্তৃপক্ষকে মুসলিমুদ্দিন ও তার সহযোগীদের ভিতরে ঢুকতে দেবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলে বন্দী অবস্থাতেই খুন হয়ে যান ১৯৭১-এর অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রেসিডেন্ট সইয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধান মন্ত্রী তাজুদ্দিন আহমেদ, অর্থ মন্ত্রী এম মন্সুর আলি এবং স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান। 
 
জেল-হত্যা মামলায় ছ\'জন প্রাক্তন সেনা কর্মীকে খালাস করে দেওয়ার  রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে  আপিল করায় সুপ্রিম কোর্টে এই শুনানি চলছিল। আজ পঞ্চম দিনের শুনানির শেষে প্রধান বিচারপতি মহম্মদ মুজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ছয়-সদস্যের অ্যাপেলেট ডিভিশন বেঞ্চ আজ ৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতুবি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 
 
চার জন জাতীয় নেতাকে হত্যার দায়ে  ঢাকা মেট্রোপলিটান সেশনস আদালতে ২০০৪ সালে তিন প্রাক্তন সেনা কর্মী--মুসলিমুদ্দিন, মারফত আলি শাহ এবং আবদুল হাশেম মৃধার মৃত্যদন্ড এবং আরও ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ হয়েছিল। 
 
হত্যাকারীদের সহায়তা করার জন্য যাদের যাবজ্জীবনের আদেশ হয়েছিল তাঁরা হলেন, সঈদ ফারুক-উর-রহমান, সুলতান শারিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, লেঃ কর্নেল(পদচ্যুত) খোন্দকার আবদুর রশিদ, লেঃকর্নেল (অপসারিত) .শরিফুল হক ডালিম, লেঃ কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) এস এইচ এম বি নুর চৌধুরি, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লেঃ কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এম রাশেদ চৌধুরি, মেজর (অপসারিত) আহমেদ শরিফুল হোসেন,ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অপসারিত) কিসমত হাসেম এবং ক্যাপ্টেন (অপসারিত) নাজমুল হোসেন। 
 
দু\' হাজার আট সালের ২৮শে অগাস্ট হাই কোর্ট মুসলিমুদ্দিনের মৃত্যদন্ড বহাল রাখে, কিন্তু মারফত আলি এবং হাশেমকে মুক্তির আদেশ দেয়।
 
বঙ্গবন্ধু-হত্যা মামলায় ফারুক, শারিয়ার, মহিউদ্দিন এবং বজলুল হকের ইতিমধ্যেই মৃত্যদন্ড কার্যকর হয়ে যাওয়ায় হাই কোর্ট তাঁদের নাম জেল-হত্যা মামলা থেকে বাদ দিয়ে দেয়, কিন্তু যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া অন্য আট জন সম্পর্কে কিছু নির্দেশ দেয়নি।