Sports

লড়াকু ব্রাদার্সকে হারিয়ে শেখ রাসেল সুপার কাপ ফাইনালে

লড়াকু ব্রাদার্সকে হারিয়ে শেখ রাসেল সুপার কাপ ফাইনালে

| | 23 Jun 2013, 07:15 am
ঢাকা, জুন ২২ ঃ বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বিনোদনমূলক ফুটবল উপহার দিয়ে তরুণ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে পরিষ্কার দু'গোলে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে উঠে গেল তিন বারের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল কে সি।

 দলের হয়ে প্রথমার্ধে দু\'টি গোলই করেন শেখ রাসেল দলের স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি।

 
 তবে আধিপত্য বজায় রেখে জিতলেও শেখ রাসেল কে সি\'র পক্ষে কাজটা খুব সহজভাবে হয়নি, কারন তাদের সঙ্গে সমানে লড়ে গেছে তারুণ্যে ভরপুর ব্রাদার্সের ফুটবলাররা।ব্রাদার্সের হেরে যাওয়ার প্রধান কারন বড় ম্যাচ খেলায় তাদের ফুটবলারদের অনভিজ্ঞতা।  
 
খেলা শুরুর দু\'মিনিটের মধ্যেই কিন্তু ব্রাদার্স গোল করে এগিয়ে যেতে পারত যদি না রেফারি মিজানুর রহমান বক্সের মধ্যে ব্রাদার্সের রক্ষনভাগের একজন খেলোয়াড়ের হাত দিয়ে বল ধরার ঘটনা উপেক্ষা করতেন। 
 
এর পরেই অবশ্য শেখ রাসেল তেড়ে ফুঁড়ে ওঠে আর পাঁচ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করে ফেলে। লেফট ব্যাক নাহিদুল ইসলামের একটি ক্রস থেকে বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়া এমিলির শট জালে জড়িয়ে যায়।  
 
এর আগের তিনটি সাক্ষাৎকারেই শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে গোল করে এগিয়ে গিয়েও হেরে যাওয়া ব্রাদার্স এর পরে প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করে। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আরিফ হোসেনের শট প্রতিপক্ষের গোলকিপার বিপ্লব ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করতে পারেনি। এর পরেও ব্রাদার্স গোল শোধের জন্য মরীয়া চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তা ব্যর্থ করে দেন বিপ্লব, ২৭ মিনিটে জুয়েল রানার একটি জোরাল শট অসামান্য দক্ষতায় আটকে। 
 
এর দু\'মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে ব্রাদার্স। মামুনুল ইসলামের পাঠানো একটি লম্বা পাস ধরে তীর বেগে বক্সে ঢুকে পড়া মিঠুন চৌধুরি বলটি চিপ করে দিতেই অরক্ষিত এমিলির ঝাঁপিয়ে পড়া হেড গোলে ঢুকে যায়। 
 
খেলার মাঝামাঝি সময়ে ব্রাদার্সের গোলকিপার সুজনকে একা পেয়েও শেখ রাসেলের উইংগার হাসান জাহিদ সুযোগ নষ্ট না করলে এবং ৬৫ মিনিটে এমিলি একটি স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ না হলে তিন বারের সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন দল আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত।
 
তবে এতকিছু সত্ত্বেও ব্রাদার্স কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কাউন্টার অ্যাটাক নীতি নিয়ে খেলা শেখ রাসেলের উপর  চাপ আরও বাড়িয়ে বেশিরভাগ সময় ধরেই বল প্রতিপক্ষের অর্ধে রেখেছিল। স্বাভাবিকভাবেই জেতা সত্ত্বেও দলের পারফরম্যান্স শেখ রাসেলের কোচ মারুফুল হককে খুশি করতে পারেনি।