Sports

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপঃ সংকটে আয়োজক বাংলাদেশ

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপঃ সংকটে আয়োজক বাংলাদেশ

| | 23 Jun 2013, 06:57 am
ঢাকা, জুন ২২ ঃ ম্যাচ ফিক্সিং এবং প্রশাসনিক গলদ ছাড়াও আগামী টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ঘাটতির জন্যও আই সি সি'র আসন্ন বার্ষিক সাধারন সভায় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশ।

 লন্ডনে আগামী ২৬ তারিখ থেকে চার দিনের জন্য হতে চলা  এই সভায় প্রস্তুতিতে  পিছিয়ে থাকার জন্য টি২০ বিশ্বকাপের  আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের জায়গায় পরিবর্ত দেশের নাম আলোচিত হবে বলে জানা গেছে।

 
"আই সি সি\'র এই সভা দু\'টি দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ন--পরিবর্ত আয়োজক দেশ এবং আকসু রিপোর্ট," বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান বলেছেন।
 
 
"বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আই সি সি ওয়ার্ল্ড টোয়েন্টি ২০-র প্রস্তুতির ব্যাপারে মোটেই খুশি নয়। তাই আলোচনা সূচীতে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বোঝাতে হবে যে, পরিবর্ত আয়োজকের কোনও প্রয়োজন নেই এবং আমরা আমাদের হাতে যা আছে তা দিয়েই এই চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করতে পারব," তিনি বলেন।
 
বি সি বি প্রেসিডেন্টের এখন মাথাব্যাথা দু\'টি ভেনু নিয়ে--সিলেট এবং কক্স বাজার। সামনের বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে হতে চলা এই টুর্নামেন্টের অন্তত ছ\' মাস আগেই ভেনুগুলি তৈরি রাখতে হবে। টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে পুরুষদের চ্যাম্পিয়নশিপের খেলাগুলি হওয়ার কথা মিরপুর, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে, আর কক্সবাজারে হওয়ার কথা মহিলাদের বিশ্বকাপের খেলাগুলি। পরিবর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে নারায়নগঞ্জের ফাতুল্লা স্টেডিয়ামকে।
 
পুরুষদের চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ৩৯টি এবং মহিলাদের ১৫ টি ম্যাচ হওয়ার কথা। বি সি বি\'র কর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলি এবং প্র্যাকটিসের জন্য ছ\'টির বেশি মাঠের দরকার। 
 
বি সি বি প্রেসিডন্ট জানান, সবথেকে বড় সমস্যা সিলেটের স্টেডিয়াম নিয়ে। অক্টোবর মাসের মধ্যে ওই স্টেডিয়ামের কাজ সম্পূর্ন করা দরকার, অথচ ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউনসিল এখনও সেখানে কোনও কাজই শুরু করেনি। "যেখানে কাজই শুরু হয়নি, সেখানে কি করে আমরা আগামী ছ\'মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার আশা করতে পারি?" হতাশ নাজমুল বলেছেন।
 
"আমি অর্থমন্ত্রী এবং ক্রীড়ামন্ত্রী--দু\'জনে সঙ্গেই কথা বলেছি। আমাদের একমাত্র আশা যে, এঁরা দু\'জনেই কাজ সম্পূর্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট যাতে পাওয়া যায় তার জন্য সমস্ত রকম সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন," বি সি বি প্রেসিডেন্ট বলেন।