Sports
Flats given to three Bangladeshi sports personalities
বৃহস্পতিবার গণভবনে ফ্ল্যাটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেয়া হয়েছে শিলা-শাকিলের হাতে। মাবিয়া দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে কাগজপত্র গ্রহণ করেছেন তার বাবা। স্বর্ণজয়ী ক্রীড়াবিদদের জন্য রাজউক উত্তরায় ফ্ল্যাট তৈরি করলেও টাকার জন্য তা এতোদিন বুঝে পাননি। এ নিয়ে শিলা, মাবিয়া, শাকিলরা দৌড়াদৌড়ি করেও সফল হননি। অবশেষে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কানে গেলে তিনি দ্রুত তাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
তবে উত্তরার রাজউকের নয়, এই ক্রীড়াবিদকে ফ্ল্যাট দেয়া হয়েছে মিরপুর-১৫ নম্বরে। এগুলো গণপূর্তমন্ত্রণালয়ের ফ্লাট। শিলা-মাবিয়া-শাকিলরাই আবেদন করেছিলেন তাদের ফ্ল্যাট যেন উত্তরার পরিবর্তে অন্য কোথাও দেয়া হয়। তাই শিলা-মাবিয়াদের মিরপুর-১৫ নম্বরে ফ্ল্যাট দেয়া হয়।
এতে দারুণ খুশি গত এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা বলেন, ‘আজ আমাদের অত্যন্ত আনন্দের দিন। অবশেষে আমরা পুরস্কারের ফ্ল্যাট বুঝে পেলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবকিছু দিয়েছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হবে এবং ডিসেম্বরে ফ্ল্যাটে উঠতে পারবো। মিরপুরে ফ্ল্যাট পাওয়ায় আরো ভালো হলো।’
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে তিন ক্রীড়াবিদকে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করে বলেছিলেন, ‘যতদিন তাদের ফ্ল্যাট রেডি না হবে, ততদিন তারা যে বাসায় থাকেন তার ভাড়া দেবে সরকার।’ যে কারণে তারা নতুন বাসায় উঠেছিলেন। শিলা ও মাবিয়ার বাসা ভাড়া মাসে ২২ হাজার টাকা এবং শাকিলের ২৪ হাজার টাকা।
ভাড়া দেয়া শুরুও হয়েছিল; কিন্তু ৬ মাস দেয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। নতুন বাসায় উঠে বিপাকেও পড়েন ক্রীড়াবিদরা। এভাবে ৩০ মাস সরকার বাসা ভাড়া না দেয়ায় শিলা, মাবিয়া ও শাকিলরাই পরিশোধ করেছেন।
বিষয়টিও বৃহস্পতিবারই শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘দেরিতে ফ্ল্যাট পাওয়া এবং ভাড়া বাকি পড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অখুশি হয়েছেন। তিনি বলেন- আমাকে আগে জানাওনি কেন? জানলে তো দেরি হতো না। আর বাকি ৩০ মাসের বাসা ভাড়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টেনশন করার দরকার নেই। পেয়ে যাবা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার পিএসকে বিষয়টি দেখতে বলেছেন’।