Sports

বি সি এল শুরু: জিয়ায়ুর রহমানের দুরন্ত সেঞ্চুরি

বি সি এল শুরু: জিয়ায়ুর রহমানের দুরন্ত সেঞ্চুরি

| | 28 May 2013, 04:27 am
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৮ ঃ জিয়ায়ুর রহমানের ঝোড়ো অপরাজিত সেঞ্চুরির মধ্যে দিয়ে মীরপুরের শের-এ-বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথম বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বি সি এল) গতকাল দারুন ভাবে শুরু হল।

 পনেরটি ছক্কা হাঁকানো প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের এই মারমুখী আগ্রাসী ডান হাতি ব্যাটসম্যান খুব অল্পের জন্য প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে এক ইনিংসে সব থেকে বেশীবার ওভার বাউন্ডারি মারার বিশ্ব রেকর্ডের ভাগীদার হবার থেকে বঞ্চিত হলেন। এর আগে অ্যানড্রু সাইমন্ডস, গ্রাহাম নাপিয়ের এবং জেসি রাইডার ১৬ টি করে ছয় মেরে এই রেকর্ডের অংশীদার হয়েছেন।
তবে রেকর্ড ফসকালেও যে ব্যাটিং তান্ডব জিয়া চালিয়েছেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তা সম্ভবত এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এটি প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে তাঁর করা প্রথম সেঞ্চুরি । জিয়ার ১১৮ বলে করা ১৫২ রানের ইনিংসটি, যার মধ্যে আছে ১৫ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারি এবং সাতটি বাউন্ডারি, তাঁর দলকে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিরুদ্ধে খুব ভালো অবস্থায় দাঁড় করিয়ে দেয়। প্রথমটা খুব বিশ্রী ভাবে শুরু করেও প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত দিনের শেষে ৭৩ ওভারে ৩৪৩ করে সবাই আউট হয়ে যান। ব্যাট হাতে জিয়ার অসাধারন কীর্তির নীচে চাপা পড়ে যায় বাঁ হাতি স্পিনার মোশারফ হোসেনের পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে আসা জিয়া প্রায় একক ভাবেই তাঁর দলের স্কোর আট উইকেটের বিনিময়ে ১৯২ থেকে ৩৪৩-এ নিয়ে যান। তবে এ\'ক্ষেত্রে দশ নম্বর ব্যাটসম্যান মুরাদ খানও কিছুটা কৃতিত্ব দাবী করতে পারেন। কোন রান না পেলেও ২৫ বল খেলা মুরাদ জিয়াকে ক্রমাগত স্ট্রাইক দিয়ে গেছেন। বিপক্ষের প্রায় সব বোলারকে প্রচন্ড পিটিয়ে জিয়া তাঁর প্রথম পঞ্চাশ রান করেন ৬৬ বলে, পেসার সাদাত হোসেনকে হুক করে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ।
তাঁর আগে সাউথ জোনের প্রায় সব ব্যাটসম্যান বাজে শট খেলে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে দলকে বিপদের মুখে ফেলে যান।
বোগরায় বি সি এল-এর অন্য একটি খেলায় বি সি বি নর্থ জোন ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোনের বিরুদ্ধে চার উইকেটে ২৯৪ করে ভাল অবস্থায় আছে।
ইসলামি ব্যাংকের বোলার তাপস বৈশ্য শুরুর দিকেই উইকেট নিয়ে আঘাত হানলেও বি সি বি নর্থ জোনের ফরহাদ হোসেন এবং ওপেনার জুহুরুল ইসলাম দ্বিতীয় উইকেটে ১৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। জুহুরুল (৭৯) এবং ফরহাদ (৬০) পর পর আউট হয়ে গেলেও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং নঈম ইসলাম এর পরে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ৮৭ রান তুলে ফেলেন। পরে মুশফিকুর বাঁ হাতি স্পিনার এনামুল হকের বলে নিজস্ব ৪৮ রানে আউট হয়ে গেলেও নঈম দিনের শেষে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। বিপক্ষ দলের তাপস তিনটি উইকেট নিয়েছেন।