Sports
Mashrafe exits as captain with big win
যা তাড়া করতে নেমে কখনওই জয়ের পথে ছিলো না জিম্বাবুয়ে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানদের বোলিং তোপে তারা অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ২১৮ রানে। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১২৩ রানের বড় ব্যবধানে। একইসঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেই শেষ হলো অধিনায়ক মাশরাফির অধ্যায়।
জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম ওভারেই আঘাত হেনেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। যা চলতে থাকে ৩৮তম ওভার পর্যন্ত। মাশরাফি আর উইকেট পাননি পরে। তবে সাইফউদ্দিন ৪, তাইজুল ৩, মোস্তাফিজ ও অভিষিক্ত আফিফ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
যার সুবাদে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ ম্যাচ ও সিরিজটি রাঙিয়ে থাকল ১২৩ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এটি ১৩তম হোয়াইটওয়াশের রেকর্ড। যার মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পাওয়া গেলো পঞ্চমবারের মতো।
সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে জিম্বাবুয়ের পক্ষে লড়েছেন কেবল একশতম ওয়ানডে খেলতে নামা সিকান্দার রাজা। তিনি খেলেছেন ৬১ রানের ইনিংস। এছাড়া ওয়েসলে মাধেভের ৪২, শন উইলিয়ামস ৩০ ও রেগিস চাকাভা করেছেন ৩৪ রান।
এর আগে ব্যাট হাতে রূপকথা লেখেন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। ওয়ানডেতে দেশের ইতিহাসের রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে দলকে এনে দেন পাহাড়সমান পুঁজি। এই যুগলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করেই কার্টেল ওভারে (৪৩ ওভার) নেমে আসা ম্যাচে ৩ উইকেটে ৩২২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
অধিনায়ক হিসেবে নিজের বিদায়ী ম্যাচটি খেলতে নেমে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরেছেন মাশরাফি। জিম্বাবুয়ে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলাদেশকে পাঠায় ব্যাটিংয়ে।
ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। দু’জনই আগের দুই ম্যাচে খেলেছেন দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরির ইনিংস। প্রথম ম্যাচে লিটন অপরাজিত ১২৬ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম খেলেন ১৫৮ রানের ইনিংস।